আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা

আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা | আইবিএস কি | আইবিএস রোগ ভালো করার নিয়ম

আজকে আমরা আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছি যে বিষয়টি অন্তত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনাদের জন্য জরুরী। আমরা প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে বিভিন্ন রকম তথ্য উন্মোচন করি এবং আপনাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে আমরা এমন একটি রোগ এবং রোগের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব যে বিষয়টি অনেকেই অনুসন্ধান করে। ইতিপূর্বেই আপনারা আইবিএস রোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। অনেকেই আছেন যারা আইবিএস রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান এবং অনেকেই আছেন যারা আইবিএস রকি এ ধরনের তথ্য গুলো অনুসন্ধান করেন। আজকে আমরা আপনাদের সামনে আইবিএস রোগের কিছু লক্ষণ এবং খাবার তালিকা এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে আইবিএস নিরাময় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।

আপনি যদি ঘরোয়া ভাবে আইবিএস রোগ নিরাময় করতে চান। অথবা আই বি এস রোগের লক্ষণ কি সেটা সম্পর্কে জানতে চান। এছাড়াও কিভাবে আইপিএস রুম নিরাময় করা যায় সে সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আমাদের প্রতিবেদনটির সাথে থাকবেন। আপনি আমাদের প্রতিবেদনটি থেকে খুব সুন্দর ভাবে সংগ্রহ করতে পারবেন এ সকল রোগের লক্ষণ এবং খাবার তালিকা এবং ঘরোয়াভাবে নিরাময় করার উপায়। তবে এজন্য আপনাকে অবশ্যই আমাদের প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে দেখতে হবে এবং আমাদের সাথে থাকতে হবে। চলুন সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি আই বি এস রোগের লক্ষণ এবং খাবার তালিকা।

আই বিএস কি ?

প্রথমতই যখন আপনাদের সামনে আইবিএস রোগটি আসে বা আইবিএস রোগের লক্ষণ দেখা দেয় তখন অনেকেরই আগ্রহ জাগে আইবিএস রোগ সম্পর্কে জানতে। আইভিএস রোগ কি ধরনের সমস্যা করে মানবদেহে এবং আইবিএস রোগ হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি সেই সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে। তাই তাদের জন্যই আমরা তুলে ধরব আই বি এস ই আইবিএস রোগের লক্ষণগুলো। ibs এমন একটি রোগ যেটা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের একটি ফাঙ্কশনাল ও কার্যগত সমস্যা। এই রোগটি সাধারণত যুবক বয়স থেকেই শুরু হয়ে থাকে। সাধারণত এই রোগে ভোগেন বেশিরভাগ নারীরা। যারা সব সময় উদ্বিগ্ন বা মানসিক চাপে ভোগেন। তারা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। বিভিন্নভাবে গবেষণা করে জানতে পেরেছি আইবিএস রোগের সঠিক কারণ ভালোভাবে জানা যায়নি। তবে এ রোগের কিছু থিউরি রয়েছে যেই থিওরি করলো দ্বারাই বোঝা যায়। পরিপাক নালীর পেশির অস্বাভাবিক সংকোচন, প্রসারণ, স্নায়ুর সংকেচিত সমস্যা, উদ্যোগ ও মানসিক চাপ ইত্যাদি।

>

আইবিএস রোগ ভালো করার নিয়ম

আপনি যদি ঘরোয়া ভাবে আইপিএস রোগ নিরাময় করতে চান তাহলে অবশ্যই সম্ভব। আমি জানি এই রোগের চিকিৎসা ঘরে বসে করতে পারেন সম্পূর্ণ নিজের কিছু প্রাকৃতিক ঔষধি ব্যবহার করে। আবিষ্কৃত রোগটি সাধারণত সকল মানুষের হয়ে থাকে তবে কিছু মানুষের এ রোগটি প্রসারণ ঘটে এবং অনেক মানুষের প্রসারণ ঘটে না। তাই আই ভি এস রোগটি নিরাময় করা এখন পর্যন্ত সম্ভব নয় তবে এ রোগের চিকিৎসা না থাকলেও আপনি চাইলে ঘরোয়া নিয়মে কিছু প্রাকৃতিক নিয়মের মাধ্যমে এর একটি দাবিয়ে রাখতে পারবেন। কিভাবে আপনি এই রোগটি নিয়ে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন সে বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

আঙ্গুর
বাদাম
শিম
মশুর ডাল
কাচা টমেটো
শসা
নারিকেল
আপেল
পাতা কপি

নরম ভাত
হালকা ঝোলের তরকারি
কাঁচা পাকা পেঁপে
গরম গরম টাটকা টাটকা খাবার

আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা

আমাদের মাঝে অনেক মানুষই আছেন যাদের আইবিএস যোগ আক্রমণ করেছেন এবং আইবিএস নিয়ে তারা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ নেনি ও বিভিন্ন চিকিৎসক বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে এর একটি সমাধান করতে পারছে না। তবে আজকে আমরা আপনাদের সামনে কিছু ঘরোয়া খাবারের তালিকা গুলো তুলে ধরব যে খাবারগুলো প্রতিনিয়ত খেলে অবশ্যই আপনি আইবিএস থেকে দূরে থাকতে পারবেন। আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে এই খাবারগুলোর তালিকা গুলো সংগ্রহ করেছি এবং বিভিন্ন ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে এই খাবারের তালিকা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

  • অবশ্যই যেসব খাবারে পেটের সমস্যা বাড়ে সেই খাবার গুলো খাওয়া যাবে না।
  • দুধ দুত যাও খাবার অবশ্যই খাওয়া যাবে না।
  • শাক, অতিরিক্ত তেলের ভাজা বা ডিপ ফ্রাই খাবার খাওয়া চলবে না।
  • অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
  • বেকারি, কৃত্রিম চিনি, ক্যাফিন ইত্যাদি এড়িয়ে চলা খুবই উপকার।
  • নিয়মিত ব্যায়াম এবং হাটাহাটি করার চেষ্টা করতে হবে।
  • পেটের মধ্যে গ্যাস ভাব বাবা বা ফাঁপা থাকলে সেটি দূর করতে হবে।
  • একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে সারাদিনে অল্প অল্প করে খান এবং খাবারের টাইম টেবিল বজায় রাখুন।
  • মানসিক চাপ বা স্ট্রেঞ্জ কমাতে ব্যায়াম যোগব্যায়াম মেডিটেশন করতে পারেন।

আমরা আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম আইপিএস রোগের লক্ষণগুলো এবং কি কি খাবার খেলে আইবিএস রোগ আপনাকে ছুঁতে পারবে না সেসব বিষয়ে নানা রকম তথ্যগুলো। আশা করি আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে একটি নানা রকম তথ্য পেয়ে উপকৃত হবেন। যদি আমাদের প্রতিবেদনটি আপনাদের ভালো লাগে এবং উপকারে আসে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং শেয়ার করবেন যারা এই রোগে ভুগছেন বা এই রোগ সম্পর্কে নানা রকম তথ্য সংগ্রহ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *