প্রিয় পাঠক ঈদ উপলক্ষে সবাই বাড়ি ফেরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে তারা অনেকদিন পর বাসায় ফিরবে এবং আত্মীয়-স্বজন ভাই-বোন এবং প্রিয় মানুষের সাথে ঈদ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে এজন্য তারা সবাই বাড়ি ফেরার জন্য যেকোনো মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। তবে আপনার যদি বাস পরিবহনের মধ্যে বাসায় ফিরতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। বাসের মাধ্যমে বাড়ি ফিরলে আপনাকে রাস্তায় বিভিন্ন জামজট অতিক্রম করতে হবে। এবং বাস পরিবহন আপনাকে খুব বেশি সময় নিয়ে বাসায় পৌঁছাবে। তবে আপনাকে আমরা বলতে পারি যে যানজট বিহীন এবং আরামদায়ক প্রমাণ করতে অবশ্যই আপনাকে ট্রেনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে হবে। ট্রেন সর্বদাই যানজটমুক্ত থাকে এবং আরামদায়ক ভ্রমণ করার জন্য ট্রেন পারফেক্ট একটি পরিবহন ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ দলের অধীনে সকলকে চলাচল করে থাকে তাই আপনারা চাইলে। সকল ট্রেনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারেন কারন সকল ট্রেন বাংলাদেশ অধীনে চলে এবং সেটি সবসময় যানজটমুক্ত এবং আরামদায়ক ভ্রমণ দিয়ে থাকে। যেহেতু ঈদ উপলক্ষে মানুষ সবাই বাড়ি ফেরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তাই অবশ্যই আপনাকে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। অনেকে আছে যারা অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারে না কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটবে সেই সম্পর্কে জানে না তাদের জন্য আমরা এই নিবন্ধটির সাজিয়েছি। যাতে আপনি খুব সহজেই আমাদের নিবন্ধনটি থেকে জানতে পারেন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সম্পর্কে কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটবে সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক অনুমোদিত একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন তারা অগ্রিম ট্রেনের টিকিট সম্পর্কে। আপনারা যারা অনলাইনে মাধ্যমে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন তাদেরকে আমরা জানাবো আপনাদের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অগ্রিম টিকিট এর ব্যবস্থা করেছেন তারা একটি তারিখ প্রকাশ করেছেন সেই নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী অনলাইনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন এছাড়াও সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে আপনার অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা সকলেই ব্যস্ততা মাধ্যমে চলাচল করি তাই আমাদের বাসা ফিরলে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করে রাখতে হবে তাহলেই আমরা খুব সহজেই ভ্রমণ করতে পারব। এবং আমরা বাসায় ফিরে ঈদ উদযাপন করে পরবর্তীতে আবারও গন্তব্যে ফেরার জন্য আমাদের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে তাই আপনি অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন আমাদের এই ওয়েবসাইটটি থেকে।
অনলাইনে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট
আপনার যদি অনলাইনের মাধ্যমে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনাকে নিম্নে কিছু শর্ত পালন করতে হবে আমরা নিচে কিছু শর্ত তুলে ধরলাম যে শর্ত অনুযায়ী আপনি অনলাইনে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। কিভাবে আপনি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করবেন সেটি আমরা নিচে তুলে ধরলাম যাতে সহজেই আপনি ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে অগ্রিম টিকিট কাটার অ্যাপস- www.shohoz.com অথবা Rail Sheba (BD Railway)
বাংলাদেশ রেলওয়ে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট ওয়েবসাইট-eticket.railway.gov.bd
- প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে অথবা আপনার মোবাইল অ্যাপস অথবা রেল সেবা অ্যাপস এ প্রবেশ করতে হবে।
- অবশ্যই মোবাইল অ্যাপস অথবা রেল সেবা অ্যাপস এ আপনাকে রেজিস্টার করে লগইন করতে হবে।
- যখনই আপনি ওয়েব সাইটটিতে প্রবেশ করবেন তখন আপনার গন্তব্য থেকে পৌঁছানোর স্থানটি সিলেক্ট করতে হবে।
- এবং নিচে আপনার ভ্রমণের তারিখটি উল্লেখ করা থাকবে আপনি আপনার ভ্রমণের তারিখটি উল্লেখ করে দিবেন।
- পরবর্তীতে আপনি কয়টি টিকেট সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন সেটি তুলে ধরা হয়েছে সেটি আপনি তুলে ধরবেন।
- এবং আপনি ভ্রমণের জন্য কোন সিটি অথবা কোন শ্রেণীতে ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন সেটাই তুলে ধরবেন।
- অটোমেটিকলি আপনার সামনে সিটের ভাড়ার তালিকা চলে আসবে সেই অনুযায়ী আপনি সাবমিট করবেন এবং বিকাশের মাধ্যমে আপনি টাকাটি পেমেন্ট করে দিবেন।
- আপনার টাকাটি পেমেন্ট হলে আপনাকে অবশ্যই একটি রিসিভ প্রধান করবে। সেই রিসিভ টি আপনি সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
- এবং ভ্রমণের সময় আপনি এই রিসিভ দেখিয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে ভ্রমণ করতে পারে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে অগ্রিম টিকিট কাটার সময়সূচী
আপনি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক অনুমোদিত কোন ট্রেনে ভ্রমন করতে চাইলে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে হবে কারণ ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের টিকিট পাওয়া খুবই কষ্টদায়ক। তাই আপনাকে অবশ্যই অগ্রিম ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়াও রে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাউন্টার এর আশপাশে অনেক দালাল রয়েছেন যারা অগ্রিম ট্রেনের টিকিট গুলোর শহরেও করে রাখেন এবং টিকিটের শংকর দেখা দেয়। তাই আপনাকে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে হবে তাহলেই আপনি সুন্দরভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন, এছাড়াও দালালরা অগ্রিম ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে রাখে এবং পরবর্তীতে সেই টিকিটি অধিক পরিমাণ দামে বিক্রি করে। আপনি বাংলাদেশে চলাচল করার সকল ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন আমরা নিচে সুন্দরভাবে তুলে ধরলাম অগ্রিম ট্রেনের টিকিট কাটবেন কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত।
পবিত্র ঈদুল আযহা ২০২২ উপলক্ষে সম্মানিত যাত্রী সাধারণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ব্যবস্থা চালু করেছেন। অগ্রিম টিকিট বিক্রয় তথ্য নিম্নরূপ।
ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রয় তথ্যাবলী
বিক্রয়ের তারিখ |
যাত্রার তারিখ |
০১ জুলাই ২০২২ | ০৫ জুলাই ২০২২ |
০২ জুলাই ২০২২ | ০৬ জুলাই ২০২২ |
০৩ জুলাই ২০২২ | ০৭ জুলাই ২০২২ |
০৪ জুলাই ২০২২ | ০৮ জুলাই ২০২২ |
০৫ জুলাই ২০২২ | ০৯ জুলাই ২০২২ |
ঈদ যাত্রায় অগ্রিম টিকিট বিক্রয় ট্রেনসমূহ
আমরা সবাই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের জন্য এই নিবন্ধটির। আপনারা আমাদের এই নিবন্ধটির থেকে জানতে পারবেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক অনুমোদিত কোন কোন ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন অগ্রিম। তাই আমরা আপনাদের সামনে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক অনুমোদিত যে সকল ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করার সুব্যবস্থা রয়েছে সে সকল ট্রেনের নাম গুলো তুলে ধরলাম যাতে আপনারা সহজেই বুঝতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় রুটে অথবা আপনার রুটে অগ্রিম টিকিট ব্যবস্থা চালু হয়েছে কিনা।
স্টেশন | ট্রেনের রুট সমূহ |
ঢাকা (কমলাপুর) | সমগ্র উত্তরআন্চলগামী আন্তঃনগর ও বী, মু সি, ই (পঞ্চগড়) ঈদ স্পেশাল |
ঢাকা (কামলাপুর) শহরতলী প্লাটফর্ম | রাজশাহী ও খুলনাগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেন |
ঢাকা বিমানবন্দর | চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেন |
তেজগাঁও | ময়মনসিংহ, জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেন ও দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল। |
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট | মোহনগঞ্জ আন্তঃনগর ট্রেন |
ফুলবাড়িয়া ( পুরাতন স্টেশন) | সিলেট ও কিশোরগঞ্জ সকল আন্তঃনগর ট্রেন |
জয়বেদপুর | বী, মু সি, ই ( (পঞ্চগড়) ঈদ স্পেশাল ট্রেন ( ঈদের ৩ দিন পূর্বে হতে চলাচল শুরু করবে) |
অগ্রিম টিকিট বিক্রয় শর্ত সমূহ
আপনি কি অগ্রীম ট্রেমের টিকিট সংগ্রহ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু শর্ত মেনে তারপরেই বাংলাদেশ রেলওয়ের করতে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। আমরা আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু শর্ত তুলে ধরলাম যাতে সহজেই আপনি বুঝতে পারেন এই শর্তগুলো মেনে আপনি অগ্রিম ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন।
- টিকিট যার ভ্রমন তার এই কথা সামলে রেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্মানিত যাত্রীদের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা জন্ম সনদের ফটোকপি নিয়ে কাউন্টারে যোগাযোগ করতে হবে এবং টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
- রেল সেবা, মোবাইল অ্যাপস, ইন্টারনেট ও কাউন্টার এর মাধ্যমে একযোগে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রয় করা হবে সকাল ৮ টা থেকে টিকিট বিক্রয় শুরু হবে।
- প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্র হতে মহিলা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা আলাদা করে কাউন্টার থাকবে।
- এবং আন্তঃনগর ট্রেন তৃপ্তি মহিলা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা আলাদা করে একটি কোচ থাকবে।
- ঢাকা তেজগাঁও, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন, ফুলবাড়িয়া পুরাতন স্টেশন থেকে চিকিৎসা অন্ধকারই ছাত্রী বৃন্দ দের জানানো যাচ্ছে যে তারা কমলাপুর রেল স্টেশনে অথবা বিমানবন্দর রেলস্টেশন গিয়ে নির্ধারিত ট্রেনে উঠতে হবে।
- স্পেশাল ট্রেনের টিকিট শুধুমাত্র কাউন্টার হতে সংগ্রহ করতে হবে।
- স্পেশাল ট্রেনের ঢাকা বিমান বন্দর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দিবে না।
- একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪ টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে।
- ঈদের অগ্রিম বিকৃত টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না।
উপরে উল্লেখিত শর্তসমূহ পালন করে অবশ্যই আপনাকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে হবে অন্যথায় আপনাকে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট প্রদান করা হবে না। তাই আপনাকে আমরা অবশ্যই বলব যে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতেন সকল শর্ত মেনে চলুন এবং আরামদায়ক ভ্রমণ করার জন্য ট্রেনে ভ্রমণ করুন। আমাদের নিবন্ধটির যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয় মানুষদের সাথে শেয়ার করুন এবং সকলকে ঈদের অগ্রিম টিকিট করার শর্ত সমূহ সম্পর্কে দেখার সুযোগ করে দিন। এতক্ষণ আমাদের সময় দিয়ে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।