কিডনি মানব দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা সমস্যার ফলে মানুষ প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছেন। মানব দেহের ফুসফুস কিংবা হৃদপিন্ডের মত কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা সাধারণ মানুষ নিজের অজান্তেই কিডনির ক্ষতি করে ফেলছি নানা রকম খাদ্যভার আমাদের পেটে ভক্ষণ করে আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের নিজের কিডনির অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলছি সেটা আমাদের জানার বাইরে। তাই আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করব কিভাবে আপনি আপনার কিডনিকে সচল রাখবেন এবং কিডনির জন্য কি ধরনের খাবার গুলো ক্ষতিকর্তা সম্পর্কে জানতে আমাদের এই নিবন্ধনটি মনোযোগ সহকারে দেখুন।
প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন শুধুমাত্র কিডনিজনিত সমস্যার কারণে। অল্প বয়সে কিডনির সমস্যা হওয়ার ফলে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। অল্প বয়সে কেন মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে শুধুমাত্র কিডনির সমস্যার কারণে এই সমস্যাটি উন্মোচন করতেই আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি। এছাড়াও অনেকেই আমাদের সামনে প্রশ্ন করে তুলেন যে অল্প বয়সে কিডনি সমস্যা হওয়ার কারণ কি। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব অল্প বয়সে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার কারণ কি এবং কিডনির সমস্যা হওয়ার কারণ কি। শুধুমাত্র মানুষের চলাফেরা নয় মানুষের খাদ্য বাসের সাথেও জড়িত রয়েছে কিডনি ড্যামেজ আওয়ার লক্ষণ।
কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার তালিকা
আমরা প্রতিনিয়ত তো যেসব খাদ্য গ্রহণ করে থাকি সে সকল খাদ্য পরিমাণ মতো গ্রহণ করতে হবে এবং নিয়মমাফিক খাদ্যগুলো গ্রহণ করতে হবে তাহলে অবশ্যই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন এবং কোনো রকম কিডনির সমস্যা হবে না। আজকে আমরা এই নিবন্ধনটির মাধ্যমেই আপনাদের জানিয়ে দিব কি ধরনের খাবার কত পরিমান খেতে হবে এবং কিভাবে গ্রহণ করতে হবে সেই সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো। তাই অবশ্যই আপনি আমাদের সাথে থাকবেন এবং সকল তথ্যগুলো সুন্দরভাবে এবং মনোযোগ সহকারে দেখবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের প্রতিবেদনটি কিডনির জন্য ক্ষতিকারক খাবারের তালিকা গুলো।
পানি পান করা : পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে। শরীরের পরিপাক পরিক্রিয়ার বর্জ্য অপসারণ এর হচ্ছে কিডনির মূল কাজ তাই অবশ্যই আপনাকে পানি পান করতে হবে।
মাংস : মাংস খাওয়ার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত একের অধিক পরিমাণ মাংস খেয়ে থাকি। অধিক পরিমাণ মাংস খাওয়া একদমই ঠিক না এটা শরীরের ক্ষতি করে। মাংস শরীরে হজম করতে অনেক বেশি সময় নাই তাই এটা কিডনির সমস্যার জন্য বড় একটি কারণ।
ব্যথা নাশক : সাধারণত আমরা যখন গলা ব্যথা মাথা ব্যথা বা শারীরিক কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যথা অনুভব করি তখন ব্যথা-নাশক খাবার অভ্যাস আমাদের রয়েছে। অধিকাংশ ব্যথা নাশকেরই কমবেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং এটা সবসময় কিডনির সাথে বিক্রিয়া করে। তাই কিডনির সমস্যা হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
লবণ : আমরা সাধারণত যে সকল খাদ্য গ্রহণকারী প্রতিনিয়ত সকল খাদ্যের সাথে লবণ খেয়ে থাকি। তবে লবন আমাদের প্রতিনিয়ত খাদ্যের সাথে গ্রহণ করতে হয় খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য। তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় খাবারের অতিরিক্ত খাওয়া হলে কিডনিতে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। এটিও কিডনি সমস্যার একটি প্রধান কারন।
কলা: কলা আমাদের দেহের ক্যালসিয়াম ও এনার্জি ঘাটতি পূরণ করে। আগের থেকে যাদের কিডনিজনিত কোন সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই কলা খাওয়া উচিত নয়। কলাতে যদিও সোডিয়াম কম থাকে তবে মাঝামাঝি ধরনের একটি কলায় ৪২২ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
এনার্জি ড্রিংকস : সাধারণত আমরা প্রতিদিনই খাবার পরে তৃপ্তি নেওয়ার জন্য এনার্জি ড্রিংক গুলো রিদ্ধি করে খাই। এনার্জি ড্রিংক গুলো অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে সেটি কিডনিতে আক্রমণ করে এবং কিডনি ড্যামেজ করার চেষ্টা করে। তৃষ্ণা পেলে আমরা এনার্জি ড্রিংগুলো কোমল পানীয় খেয়ে থাকি।
কমলা লেবু: আমরা অনেকেই আছি যারা অতিরিক্ত খাওয়ার সময় অথবা গরুর মাংস দিয়ে খাওয়ার সময় লেবুর খোসা ছাড়িয়ে লেবু খেয়ে থাকি। অতিরিক্ত ভিটামিন সি এর চাহিদা বাড়ালো হয়ে পড়ে অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়া উচিত নয়। কমলালেবু তে পটাশিয়াম বেশি থাকে তাই পটাশিয়াম কিডনিতে গিয়ে জামা পরে এবং প্রতিনিয়ত কিডনিতে পাথর সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটি সাজিয়েছি যাতে আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারি তো সমস্যা গুলো এবং কিতনির সমস্যা করার খাদ্যগুলো সম্পর্কে। আশা করি আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনটি থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পেরেছেন। আপনি যদি আমাদের প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে দেখেন তাহলে অবশ্যই এ ধরনের তথ্যগুলো সংযোগ করতে পারবেন। এবং আমাদের তথ্যগুলো আপনাদের কিডনি সমস্যা থেকে দূরে রাখে সক্ষম হবে আশা করি যদি আপনি নিয়মমাফিক খাদ্য গ্রহণ করে থাকেন। আপনার মূল্যবান সময়টি আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।