চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন টি ঢাকা টু খুলনা ভ্রমণ করে থাকেন। চিত্রা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা টু খুলনা ভ্রমণ করে থাকেন যাত্রী সেবা দেওয়ার জন্য। ঢাকা টু খুলনা ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে কর্তৃক চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা টু খুলনা রোডে দেওয়া হয়। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা টু খুলনা সকল স্তরের মানুষ খুব স্বল্প ব্যয়ে ভ্রমণ করতে পারবে এবং বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। এটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক অনুমোদিত এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত একটি আন্তঃনগর ট্রেন। আজকে আমরা বাংলাদেশ রেলওয়েল চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যাতে আপনি খুব সহজেই আমাদের নিবন্ধন থেকে জানতে পারেন চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং অন্যান্য বিষয় সমূহ সম্পর্কে।
আপনি যদি এই রুটে ট্রেন ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন তবে এই পোষ্টটি পড়ে আপনার পরিকল্পনা আরও ভালভাবে সাজান আপনার পরিকল্পনা সাজানোর জন্য আমাদের এই নিবন্ধটির খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সাহায্য করবে। এজন্য আপনি যদি আমাদের নিবন্ধনটি কোনভাবেই স্ক্রিপ্ট না করে মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনার ভ্রমণের সময় কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং বিভিন্ন তথ্য সমূহ সম্পর্কে।
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন
চিত্রা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন টি ঢাকা টু খুলনা রোডে প্রতিনিয়ত চলাচল করে এবং যাত্রী সেবা দিয়ে থাকে। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন (৭৬৩-৭৬৪)নং ঢাকা টু খুলনা রুটে চলাচল করে। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সর্বপ্রথম যাত্রা শুরু করে ২০০৭ সালের সাথেই অক্টোবর। তখন থেকে এই রুটে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি জাতীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই আন্তনগর ট্রেনের সিট ৩ টি শ্রেনীতে বিভক্ত করন করা হয়েছে। এসি স্লিপার, এসি চেয়ার এবং নন এসি চেয়ার। চিত্রা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটির সপ্তাহে ৬ দিন যাত্রী সেবা দিয়ে থাকে এবং এক দিন বন্ধ থাকে। ঢাকা টু খুলনা রোড এর সর্বমোট দূরত্ব হলো ৪১২ কিলোমিটার। ট্রেনটিতে মোট ১২টি বগি এবং আসনসংখ্যা ৮৮১টি। ট্র্যাক গেজ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি)পরিচালন গতি৯০-৯৪ কি.মি / ঘণ্টা ( সর্বোচ্চ)।
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
আপনি যে কোন মাধ্যমে ভ্রমণ করেন না কেন আপনাকে অবশ্যই সেই পরিবহনের সময়সূচি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আখি যদি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান ঢাকা টু খুলনা তাহলে অবশ্যই আপনাকে তার সময়সূচী সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই ট্রেন ছাড়ার ১০ মিনিট পূর্বে রেল স্টেশনে গিয়ে উপস্থিত হতে হবে। এবং চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে. অনেকেই আছেন যারা চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে কোন রকম ধারনা রাখে না। তাদের জন্য আমাদের এই নিবন্ধটির আমরা সাজিয়েছি যাতে আপনি খুব সহজেই আমাদের নিবন্ধটিতে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে পারেন।
স্টেশনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
ঢাকা টু খুলনা | সোমবার | ১৯ঃ০০ | ০৩ঃ৪০ |
খুলনা টু ঢাকা | সোমবার | ০৯ঃ০০ | ১৭ঃ৫৫ |
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্থান ও সময়সূচী
চিত্রা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটির ভ্রমণ করলে আপনি অবশ্যই ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে দিতে আপনাকে অবশ্যই কয়েকটি স্টেশন অতিক্রম করতে হবে। ঢাকা থেকে খুলনা পৌঁছাতে যে কয়েকটি স্টেশন আপনাকে অতিক্রম করতে হবে কয়েকটি স্টেশনে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রা বিরতি দিয়ে থাকে। তাই আমরা আপনাদের সামনে এই নিবন্ধটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরলাম চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্থান ও সময়সূচি সম্পর্কে।
বিরতি স্টেশন নাম | খুলনা থেকে (৭৬৩) | ঢাকা থেকে (৭৬৪) |
নওয়াপাড়া | ০৯ঃ৩১ | ০২ঃ৫২ |
যশোর | ১০ঃ০২ | ০২ঃ২০ |
মোবারকগঞ্জ | ১০ঃ৪৭ | — |
কোটচাদপুর | ১১ঃ০০ | ০১ঃ৪১ |
দর্শনা হাট | ১১ঃ২৫ | — |
চুয়াডাঙ্গা | ১১ঃ৪৬ | ০০ঃ৫৫ |
আলমডাঙ্গা | ১২ঃ০৭ | ০০ঃ৩৫ |
পোড়াদহ | ১২ঃ২৪ | ০০ঃ১৬ |
মিরপুর | ১২ঃ৩৭ | — |
ভেড়ামারা | ১২ঃ৪৯ | ২৩ঃ৫৫ |
ঈশ্বরদী | ১৩ঃ১৫ | ২৩ঃ১৫ |
চাট্মোহর | ১৩ঃ৪৮ | ২২ঃ৪৪ |
বড়াল্ব্রীজ | ১৪ঃ০৯ | ২২ঃ২৯ |
উল্লাপাড়া | ১৪ঃ৩০ | ২২ঃ০৯ |
শ,এম,ম,আলী | ১৪ঃ৪৯ | ২১ঃ৫১ |
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব | ১৫ঃ৪৫ | ২১ঃ১৫ |
বিমানবন্দর | ১৭ঃ২২ | ১৯ঃ২৭ |
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
আপনি যদি ঢাকা টু খুলনা রোডের ভ্রমণ করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে টিকিট ক্রয় করে ট্রেনে উঠতে হবে। এবং ইতিমধ্যেই আপনি জেনেছেন যে টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ তাই আপনাকে অবশ্যই ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে এবং তারপরেই ভ্রমণ করতে হবে। আপনি যদি আমাদের নিবন্ধটির থেকে ট্রেনের টিকিটের মূল্য সম্পর্কে ধারণা নেন তাহলে অবশ্যই আপনার ভ্রমণ করতে কোন রকম ঝামেলা এবং অসুবিধা হবে না আশা করি। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরলাম।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৫০৫ টাকা |
প্রথম সিট | ৬৭০ টাকা |
প্রথম বার্থ | ১০০৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৮৪০ টাকা |
এসি সিট | ১০০৫ টাকা |
এসি বার্থ | ১৫০৫ টাকা |
আমাদের নিবন্ধনটি থেকে যদি আপনাদের কোন রকম উপকার আসে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। তবে আমরা আশা করি আমাদের নিবন্ধনটি থেকে আমরা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করতে পেরেছি। ইতিমধ্যেই যদি আপনি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা টি জানাবেন। এছাড়াও আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং সকলকে দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন।