জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা-জিংক বি উপাদান সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা, সেবনবিধি

প্রিয় ভিজিটর আজকে আমরা আপনাদের সামনে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আজকে আমাদের সামনে আলোচনা করব এমন একটি ট্যাবলেট বিষয় সম্পর্কে যে এটা বৃত্তি আপনাদের খুব উপকারে আসে। এবং অনেকেই এই ট্যাবলেট সম্পর্কে জানতে চাই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে। আমরা আপনাদের সামনে এ ট্যাবলেটটির সম্পর্কে সকল তথ্য উপস্থাপন করব যাতে আপনি খুব সহজেই জানতে পারেন এই ট্যাবলেটটি সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আর্টিকেলটি। তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু করার আগে আমরা আপনাদের একটি পরামর্শ দিব আমাদের আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে দেখবেন কোন প্রকার স্কিপ করবেন না তাহলে আপনি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস গুলো হারিয়ে ফেলবেন।

আমাদের আজকের বিষয় হলেও জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনি যদি জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটির সাথে থাকুন সকল তথ্য জানতে পারবেন। অনেকেই আছেন যারা অনুসন্ধান করেন জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি ধরনের উপকার হয়ে থাকে। আবার অনেকেই আমাদের সামনে প্রশ্ন করেন যে জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এবং জিবি ট্যাবলেট এর অভাবে কি ধরনের রোগ হতে পারে। এধরনের সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমরা আপনাদের সামনে উপস্থিত উপস্থিত হয়েছি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের আর্টিকেল জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা

সাধারণত জিংক বি ট্যাবলেট খেলে আপনাদের বিভিন্ন ধরনের উপকার আসবে। তাই আমরা সকল উপকার গুলো আপনাদের সামনে উল্লেখ করলাম যাতে আপনারা জিংক বি ট্যাবলেট খেয়ে আপনাদের শরীর স্বাস্থ্যের উপকার করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন। আজকে আমাদের আর্টিকেলটিতে থাকছে জিংক বি ট্যাবলেট এর সকল বিষয় সমূহ সম্পর্কে। জিংক বি ট্যাবলেট সকল ধরনের তথ্যগুলো আপনি এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। নিচে আমরা জিংক বি ট্যাবলেট এর উপকারিতা গুলো উল্লেখ করলাম।

• আপনার জিংক বি ট্যাবলেট খেলে অরুচি দূর হয়।
• জিংক বি ট্যাবলেট খেলে আপনাদের খুব অনুভব হবে।
• এর ফলে আপনার পরিপাক ভালো হবে
• ইম্যুনিটি বৃদ্ধি পায়
• জিংক বি ট্যাবলেট এর কারণে ডিহাইড্রেশনে এর উপকার হয়।
• এবং সাধারণত করনা আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ দেখা দিলে খেতে বলা হয়।
• এবং ছোট বাচ্চাদের লিকলিকে স্বাস্থ্য হ্রস্বতা দূর করার জন্য ডাক্তার সাবস্ক্রাইব করেন।
• এবং প্রধান উপকারিতা হলো স্ট্যান্ডিং রোধ এবং উচ্চতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মানুষ মোটা হয়

আমি যদি জিংক বি ট্যাবলেট সেবন করেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসবে। যেমন আপনাদের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাস্থ্যের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনাদের ক্ষুধা বৃদ্ধি পাবে শরীরকে শক্তিশালী এবং গতিশীলতা বজায় রাখবে। তবে অনেকেই মনে করেন যে জিংক বি ট্যাবলেট খেলে শরীর মোটা হয়৷ জিংক বি ট্যাবলেট খেলে মানুষ মোটা হয় না এটা আপনাদের সম্পূর্ণ ভুল ধারণা কারণ জিংক বি ট্যাবলেট আপনাদের শরীরের ক্ষয় রোধ বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণ করতে আগ্রহ বৃদ্ধি করে। জিংক বি ট্যাবলেট মূলত ডাক্তার মানুষকে দেয় কারণ যাতে শরীরের ভিটামিন বি জাতীয় ভিটামিনের অভাব হয়। তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে জিংক ট্যাবলেট প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত খাওয়া কখনই উচিত নয়।

জিংক বি সিরাপ

আপনি চাইলে জিংক বি সিরাপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। জিংক বি সিরাপ গুলো আপনি গ্রহণ করতে হলে আপনাকে কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করে আপনাকে সেটি খেতে হবে। আমরা নিচে জিংক বি সিরাপ এর সকল নিয়ম কানুন এবং উপাদানসমূহ গুলো উল্লেখ করলাম। আপনি চাইলেই জিংক বি সিরাপ এর উপাদান সমূহ গুলো আমাদের নিচে থেকে সংগ্রহ করতে পারেন এবং যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারেন সকল উপাদান সমূহ গুলো।

• প্রতি 5 মিলি সিরাপ রয়েছে
• থায়ামিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৫ মি. গ্রা.
• রিবোফ্লাভিন ৫ ফসফেট সোডিয়াম বিপি ২.৭৪ মি গ্রা যা রিবোফ্লাভিন ২ মি. গ্রা. এর সমতুল্য
• পাইরিডক্রিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ২ মি. গ্রা
• নিকোটিনামাইড বিপি ২০ মি.গ্রা.
• জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট ইউএসপি ২৭.৪৫ মি. গ্রা. যা এলিমেন্টাল জিলক ১০ মি. গ্রা. সমতুল্য।

জিংক বি ট্যাবলেট উপাদান

আপনাদের মনের মাঝে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে আপনি চাইলেই আমাদের এখান থেকে সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পারেন। আপনারা অনেকেই অনেক ভাবে প্রশ্ন করে থাকেন যে ভিটামিন জিংক বি ট্যাবলেট এর উপাদান সমূহ গুলো কি কি। তাই আমরা আপনাদের সামনে জিংক বি ট্যাবলেট এর উপাদান সমূহ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলাম যাতে আপনারা খুব সহজেই আমাদের আর্টিকেলটি থেকে জিংক বি ট্যাবলেট এর উপাদান গুলো সম্পর্কে জানতে পারেন এবং সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করতে পারেন।

• থায়ামিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৫ মি. গ্রা.
• রিবোফ্লাভিন ৫ ফসফেট সোডিয়াম বিপি ২.৭৪ মি গ্রা যা রিবোফ্লাভিন ২ মি. গ্রা. এর সমতুল্য
• পাইরিডক্রিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ২ মি. গ্রা
• নিকোটিনামাইড বিপি ২০ মি.গ্রা.
• জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট ইউএসপি ২৭.৪৫ মি. গ্রা. যা এলিমেন্টাল জিলক ১০ মি. গ্রা. সমতুল্য।
• ইহা জিংক এবং বি ভিটামিন সমূহের ঘাটতি পূরণে এবং প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় নির্দেশিত।

জিংক এর অভাবে কি হতে পারে

জিং অনেক বায়োলজিক্যাল ফাংশন যেমন রোড প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ক্ষার সরানো প্ররিপাক, প্রজনন, সোহেল বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। জিং গর্ভ অবস্থায় শৈশব এবং কৈশোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনে সহায়তা করে। জিংক এর কিছু অ্যান্টিসেপটিক ক্ষমতা রয়েছে। শিশুদের এডিএইচডি ( এটেনশন ডেফিসিট হাইপাট – অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার) চিকিৎসা জিংক ব্যবহার হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জিংকের অভাবে খুদা মধ্য ও স্বাদ এবং ঘ্রাণ গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়। বিষন্নতা প্রবন, নখে সাদা দাগ, ঘনঘন ইনফেকশন, দুর্বল প্রজনন ক্ষমতা, প্রোস্টেটের সমস্যা, মানসিক সমস্যা, দেরিতে ঘা শুকানো, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ডায়রিয়া, মানসিক দুর্বলতা, ও মিশ্র ত্বক ও ওজন হ্রাস হতে পারে।

বি ভিটামিন খাদ্য থেকে শক্তি তৈরিতে প্রয়োজনীয়। শিশু ও বয়স্কদের সুস্থ মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং সুগঠিত লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে ভিটামিন-বি গুলো অন্তত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে আমাদের ছোট শিশুদের সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের একটি বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। বি ভিটামিনের অভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের গভীর অবসন্নতা এবং বিভিন্ন ধরনের স্নায়বিক সমস্যা যেমন দুর্বলতা, ভারসাম্যহীনতা, দীর্ঘশ্বাস, বিরক্তিভাব, স্মৃতি হাত-পায়ের শির শির অনুভব এবং সমন্বয়হীনতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও বি ভিটামিন এর অভাবে নিদ্রা সমস্যা, বমি বমি ভাব, এবং ক্ষুধা মান্যতা ঘনঘন ইনফেকশন এবং চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।

জিংক বি ট্যাবলেট সেবন বিধি নিয়ম

আপনি যদি জিংক বি ট্যাবলেট সেবন করার নিয়ম সম্পর্কে অনুসন্ধান করে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আমরা নিচের জিংক বি ট্যাবলেট সেবন বিধি গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলাম যাতে আপনারা সহজে এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এবং নিচে দেওয়ার নিয়ম গুলো অনুযায়ী আপনি জিংক বি ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক জিংক বি ট্যাবলেট সেবন করার নিয়ম সমূহ সম্পর্কে।

প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের যাদের ওজন 30 কেজি এর উপরে তাদের জন্য জিংক বি ট্যাবলেট 1 থেকে 2 টি করে ট্যাবলেট প্রতিদিন 2-3 বার যার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

জিংক বি সিরাপ সেবনের নিয়ম

অনেকেই রয়েছেন জিংক বি সিরাপ গুলো খাওয়ার জন্য নিয়মকানুনগুলো অনুসন্ধান করে থাকে তাদের জন্য আমাদের আর্টিকেলটি আমরা এখানে তুলে ধরবো জিংক বি সিরাপ সেবনের নিয়ম এবং বিধিগুলো কিভাবে আপনারা জিংক বি সিরাপ সেবন করবেন এবং দিনে কতবার করে খাবেন। এবং জি বি সিরাপ সেবনের বয়সের পার্থক্য এবং বয়স অনুযায়ী কিভাবে খেতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা গুলো আমরা তুলে ধরব। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক জিংক বি সিরাপ সেবনের নিয়ম কানুন।

প্রাপ্তবয়স্ক : দৈনিক ১০ মি.লি (২ চা চামুচ করে) ২-৩ বার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

বাচ্চা: দৈনিক ১০ মি.লি (২ চা চামুচ করে) ১-৩ বার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

শিশু: দৈনিক ৫ মি.লি (১ চা চামুচ করে) ১-২ বার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

মিথষ্ক্রিয়া

টেট্রাসাইক্লাইন (Tetracycline) এবং জিংক একসাথে গ্রহণের ফলে টেট্রাসাইক্লাইন এবং জিংক উভয়ের শোষণ এর হার কমে যেতে পারে। একইভাবে জিংক এবং কুইনোলোন ড্রাগ একসাথে নিলে উভয়ের শোষণ এর হার কমে যেতে পারে। পেনিসিলামাইন এবং জিংক একযোগে গ্রহণের ফলে জিংকের শোষণ কমে যেতে পারে।

জিংকের উৎস/ জিংক সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা

সম্মানিত ভিজিটর জিংক সমৃদ্ধ খাবার সমূহ সম্পর্কে অনুসন্ধান করেন তাহলে আমাদের আর্টিকেল এ আপনাকে স্বাগতম আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব সকল জিংক সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা সমূহ। আমরা আমাদের আর্টিকেলটির নিচের দিকে জিংক সমৃদ্ধ সকল খাবার গুলো সুন্দর ভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। আপনারা আমাদের নিজ থেকে সকল জিংক সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা গুলো সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী সেবন করতে পারেন সকল খাবারগুলো। অনেক পাঠকই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে জিংক সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা সমূহ সম্পর্কে তাই আমরা তাদের উপকারের জন্য এই আর্টিকেলটিতে সকল জিংক সমৃদ্ধ খাবার গুলো তুলে ধরলাম।

• মাংস
• ডিম
• শাকসবজি
• শস্য জাতীয় খাবার
• বাদাম
• ডার্ক চকলেট
• দুধ

জিংক বি  সংরক্ষণ

৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে শীতল ও শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন, আলো এবং আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

জিংক সাপ্লিমেন্ট

• বেবি জিংক [একমি ল্যবরেটরিস]
• ডিসপাজিংক [এসিআই লিমিটেড]
• জিডেক্স ২০ [বেক্সিমকো ফার্মা]

আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন এবং সকলকে দেখার সুযোগ করে দিবেন। আমাদের আর্টিকেলটি আমরা সকল ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাজিয়েছি তাই আশা করব আমাদের আর্টিকেলটি কোন প্রকার ভুল তথ্য দিয়ে তৈরি করা নয়। তবে যদি আমাদের আর্টিকেলটি থেকে আপনাদের কোনো কনফিউশন থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন। এবং জি বি ট্যাবলেট সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। এতক্ষণ সময় দিয়ে সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ