ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে

ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে-ডিভোর্স নিয়ে অজানা কিছু তথ্য

ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে। ডিভোর্স সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য। এ ধরনের কিছু তথ্য অনুসন্ধান করেন এমন কিছু পাঠক যারা ডিভোর্স সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। যারা এ ধরনের তথ্য অনুসন্ধান করেন তাদের কথা চিন্তা করে আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে সেই সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে চলেছি। এ বিষয়ে যাদের জানার আগ্রহ রয়েছে তারা উপস্থিত শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং দীর্ঘ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য গুলো আপনারা এখান থেকে সংগ্রহ করবেন। যদি আপনি দিবস সংক্রান্ত সকল বিষয়ে এই পোস্টটি থেকে সংগ্রহ করেন তাহলে পরবর্তীতে আপনার বিভিন্ন ধরনের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন সব কিছু বিষয় জানা থাকলে। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন আমাদের প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক এবং মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যায়।

বর্তমান সমাজে ডিভোর্স দেওয়া একটি সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাড়িয়েছে। মানুষ এখন চাইলেই যে কাউকে বিয়ে করতেছে এবং চাইলেই ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছে। ডিভোর্স অর্থাৎ তালাক, অনেকেই ডিভোর্স বলে এবং অনেকেই তালাক বলে। তাই এই পৃথিবীর দলটিতে আমরা তালাক দেওয়ার বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং কত টাকা লাগতে পারে এ ধরনের কিছু তথ্য উপস্থাপন করতে চলেছি আপনাদের সুবিধার্থে। সংসার চলাকালীন জীবনে যদি শান্তি না থাকে অথবা মনমালিন্য হয়ে থাকে তাহলে দেখা যায় যে সে সংসারে একজন ছেলে অথবা একজন মেয়ে তার স্বামী অথবা স্ত্রী কে তালাক দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু অশান্তি টি কেন লেগে আছে অবশ্যই সেটি আপনাদের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন কারণ একটি স্ত্রী অথবা একটি স্বামীকে তালাক দিলেই হয় না এখানে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এজন্য অবশ্যই আপনাদের মেনে নিতে হবে এবং যাতে সংসার জীবনে কোনো অশান্তি নেমে আসে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে এবং ডিভোর্স না দেওয়ার চিন্তাভাবনা মাথায় আনতে হবে।

ডিভোর্স নিয়ে অজানা কিছু তথ্য

সরকারি রেজিস্ট্রার করা যে ব্যক্তি বিয়ের জন্য রেজিস্টার করে থাকেন তার কাছে আপনাদের তালাকের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং তালার রেজিস্ট্রি করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাদের জানা প্রয়োজন যে ডিভোর্স দিতে হলে কিছু নিয়মকানুন অনুসরণের মাধ্যমেই আপনাকে ডিভোর্স দিতে হবে। আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে বা স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চান তাহলে 90 দিনের ভেতরে এই সমস্যা যদি কোনো রকমেই সমাধান না হয় বা আপনাদের ঝগড়াঝাটি যদি কোনভাবে সমাধান না হয় তাহলে আপনি 90 দিনের ভিতরে তালাক বিস্তৃতি করতে পারবেন। 90 দিন পূর্বে চাপিতলা রেজিস্ট্রি করার পরে আবার তিন নোটিশের মাধ্যমে আপনাদের সম্পর্কটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং সরকারিভাবে সেটি ডিভোর্স হয়ে যাবে।

আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চান তাহলে অবশ্যই দিতে হবে। সরকারিভাবে ডিভোর্স দিতে চাইলে অথবা কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কোর্টে তার মোহরানার টাকা পরিশোধ করে আসতে হবে এবং কোট থেকে তিনটি নোটিশ প্রদান করা হবে আপনার স্ত্রীর বাসায়। তিনটি নোটিশ পাঠানোর পর তারা যদি সুন্দর ভাবে স্বাক্ষর করেন এবং নোটিশে তারা সম্মতি জ্ঞাপন করেন তাহলেই আপনি পরিপূর্ণভাবে মুক্তি পাবেন এবং ডিভোর্স সম্পন্ন হবে। যদি আপনার স্ত্রী অথবা আপনি যাকে তালাক দিতে চাচ্ছেন সে যদি আপনার নোটিশে স্বাক্ষর না করে বা সম্মতি জ্ঞাপন না করে তাহলে কোনভাবেই আপনার ডিভোর্স সম্পন্ন হবে না। আপনার স্ত্রীর স্বাক্ষর ছাড়া কোনভাবেই আপনি ডিভোর্স দিতে পারবেন না তাই আপনাকে অবশ্যই স্ত্রী সম্মতিতে সই এর মাধ্যমে এবং স্বাক্ষরের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। এবং সেইসাথে তাকে পরিপূর্ণ দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।

ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে

অনেকেই চিন্তা করে থাকেন ডিভোর্স দিতে এত টাকা খরচ হয় কেন। অথবা অনেকেই প্রশ্ন করেন যে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে এধরনের তথ্যগুলো যারা অনুসন্ধান করেন তারা এই প্রতিবেদনটি থেকে সুন্দর ভাবে জানতে পারবেন ডিভোর্স দেওয়ার খরচ সমূহ সম্পর্কে। ডিভোর্স দিতে হলে প্রথমত আপনাকে স্ত্রী দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে। মনে রাখবেন দেনমোহর হল স্ত্রী প্রাপ্য একটি হক এবং এক্ষেত্রে আপনি যখন বিয়ে করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে দেনমোহর দিয়ে বিয়ে করতে হবে। কিন্তু বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপর নির্ভর করে দেনমোহর বেশি পরিমাণ নির্ধারণ করে থাকে। এর ফলে বরপক্ষ কোনভাবেই বিয়ের দেনমোহর এবং বিয়ের দিনই পরিশোধ করতে পারেন না তাই তারা দেনমোহর টি স্ত্রী প্রাপ্য। তবে বিয়ের সময় দেনমোহর পরিশোধ না করলে যখন আপনি ডিভোর্স দিতে যাবেন বা ডিভোর্স দিতে চান তখন অবশ্যই আপনাকে দেনমোহর পরিশোধ করে তারপরে ডিভোর্স না পাঠাতে হবে।

ডিভোর্স দেওয়ার আগে আপনার স্ত্রী যদি অন্তঃসত্ত্বা থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই সন্তান না হওয়া পর্যন্ত ডিভোর্স দেওয়া যাবেনা। তাছাড়া মধ্যবর্তী যে তিন মাসের মত সময় আপনাদের থেকে সমঝোতা জন্য নেওয়া হবে সেই সময় যদি সমস্যার সমাধান না হয় অথবা সমস্যার সমাধান হয় তাহলে এই মধ্যবর্তী সময় অবশ্যই স্ত্রীর ভরণ-পোষণের খরচ আপনাকে চালাতে হবে। উপরেরটা খরচ ছাড়া ও আপনাকে বাড়তি কিছু খরচ বহন করতে হবে। রেজিস্টার করার জন্য অথবা ডিভোর্সের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র সরকারি খাতা রেজিস্টার করার জন্য 500 টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এছাড়াও বিয়ের জন্য যদি আপনার নকল নামা তুলতে চান তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই 50 টাকা খরচ করতে হবে এছাড়াও সে সকল টুকটাক খরচ আছে যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন নিবন্ধন করার জন্য এবং প্রিন্ট করার জন্য লেখালেখি করার জন্য বহন করতে হবে।

ডিভোর্স সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য গুলো আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি আশাকরি তথ্যগুলো আপনাদের ভালো লাগবে যদি বিন্দু পরিমান ভালো লেগে থাকে এবং আপনার উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং দিবস সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন তথ্য জানার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে কমেন্ট করবেন আমরা যত দ্রুত আপনার মতামত এর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়াও ডিভোর্স দেওয়ার প্রথা সম্পর্কে যদি কোন জানার আগ্রহ হয়ে থাকে তাহলে বলবেন আমরা আমাদের ডিভোর্স দেওয়া তথ্যগুলো এবং প্রসেসগুলো জানিয়ে দেবো। তবে মনে রাখবেন ডিভোর্স দেওয়া কিন্তু ভালো ব্যাপার নয় তাই যত সম্ভব আপি আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে মিলিয়ে নিন এবং ডিভোর্স থেকে বিরত থাকুন। ডিভোর্স দিয়ে আপনারা হয়তো সুখে থাকতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনার সন্তান অথবা আপনার পরিবার এই ডিভোর্স নিয়ে কখনোই সুখে থাকবেন না তাই সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নেওয়া প্রয়োজন। সময় দিয়ে সাথে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *