বাসা-বাড়িতে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নেয়ার পদ্ধতি

বাসা-বাড়িতে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নেয়ার পদ্ধতি

আমাদের দৈনিক জীবনে বিদ্যুতের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। আমার সারাদিনের যেসব কাজকর্ম করে থাকি সকলের মধ্যেই বিদ্যুতের কোনো না কোনো সংযোগ রয়েছে। তাই আমাদের পল্লী বিদ্যুৎ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

আমরা আপনাদের সামনে আজকে আলোচনা করবো পল্লী বিদ্যুৎ সম্পর্কে। আমরা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব পল্লী বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ যদি নিতে চান। পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড অনুমোদিত, আপনার স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করুন।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পল্লী বিদ্যুতের বিশেষ প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। এই কথা সামনে রেখে কাজ করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। বাংলাদেশ সরকার চায় ১০০% বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে। তাই আপনি যদি আপনার বাসা-বাড়িতে নতুন ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে দেখুন।

>

ডিজিটাল মিটার বিল চেক করবো কি ভাবে?

আপনি যদি ডিজিটাল মিটার নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অব্যসই মিটারে কার্ড রিচার্জ করতে হবে। আপনার মিটারে কার্ড রিচার্জ করুন নিজে এবং বিল চেক করুন নিজে। কিন্তু কি ভাবে আপনি আপনার মিটারে বিল চেক করবেন বা রিচার্জ করবেন তা আমরা নিচে উল্লেখ করলাম।

বিদ্যুৎ মিটারে রিচার্জ করার নিয়ম

আপনি আপনার মিটারে রিচার্জ করতে হলে, আপনার মিটার ক্যাচ কার্ড নিয়ে বিকাশ এজেন্টের কাছে গিয়ে আপনার নির্ধারিত অর্থ রিচার্জ করে নিতে হবে।

  • আপনার টাকা রিচার্জ হলো এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার রিচার্জ মূল্য।
  • এসএমএস থেকে জানতে পারবেন, ভ্যাট ট্যাক্স এবং বর্তমান মূল্য কতো।
  • এবং বিকাশ এজেন্ট আপনাকে একটি ১৫ ডিজিটের কোড দিবে। আপনি সেই কোড টি আপনার মিটারে ডায়াল করলে, আপনার মিটারে রিচার্জ হয়ে যাবে।

বিদ্যুৎ মিটারে বিল চেক

আপনি আপনার বাসা বাড়ি বা কারখানার সকল বিল চেক করবেন তা নিয়ে চিন্তিত, আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনি খুব সহজে শিখতে পারবেন কি ভাবে বিদ্যুৎ মিটারে বিল রিচার্জ করে, যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন।

  • মিটারের বিদ্যুৎ বিল চেক করার একটি নির্ধারিত কোড রয়েছে।
  • আপনি নিচে দেওয়া কোড টি ডায়াল করে, আপনি মিটার বিল চেক করবেন।
  • ৩৭৫ ডায়াল করে আপনি বিল চেক করবেন।

পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড

আমাদের সকল কাজে জরিত বিদ্যুৎ, তাই আমাদের জীবনে বিদ্যুৎ কোন না কোন ভাবে জরিত আছে। যেমন আপনি এখন যে ডিভাইস দিয়ে আমাদের আর্টিকেল টি দেখছেন সে ডিভাইস টি হলো বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত।

বাসায় সকল কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়ে থাকে, বাসায় রান্নার কাজে, চুল শুকানোর কাজে, বাতাস খাওয়ার কাজে। ভ্যান অটো, যানবাহন সকল কাজে বিদ্যুৎ প্রয়োজন।

বাসা বাড়িতে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ

আপনার বাসায় বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নিতে হলো আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বাসা বাড়িতে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ

আমাদের সকলের বাসায় বা কারখানায় বিদ্যুৎ রয়েছে। কিন্তু আমাদের দুই সন্তান হওয়াতে বাসা-বাড়ি দুইটি প্রয়োজন, বাসা-বাড়ি দুইটি হলো অবশ্যই আমাদের বিদ্যুৎ মিটার ও দুইটি প্রয়োজন। আবার নতুন কারখানার জন্য আমাদের নতুন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড অনুমোদিত মিটার প্রয়োজন।

আপনি কিছু কিছু নিয়ম অনুসরন করলে খুব সহজে আপনার বাসায় নতুন সংযোগ নিতে পারেন। নতুন বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ নিতে চাইলে নিচের দেওয়া নিময় গুলো ফলো করুন।

কি ভাবে নতুন বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ নিবেন

  • আপনি যদি নতুন সংযোগ নিচে চাইলে, প্রথমেই আপনাকে আপনার জেলা বা উপজেলায় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
  • আবার পরে, আপনাকে ক্যাট কাটার সমীক্ষা ফি জমা দিতে হবে৷
  • সমীক্ষা ফি জমা দেওয়া হলে, সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান ওয়ারিং পরিদর্শক প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব পালন করবে৷
  • প্রধান পরিদর্শকের সমীক্ষা শেষ হলে, বিদ্যুৎ সংযোগের যথার্থ পাওয়া গেলে। কতৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহন করে গ্রাহকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
  • পরবর্তীতে জানানোর পরে গ্রাহক মিটার বোর্ড ওয়ারিং করবে৷ এবং প্রধান পরিদর্শক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করবে ওয়ারিং ঠিক আছে কি না এবং রিপোর্ট করবে৷
  • এবং বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য গ্রাহকের ক্যাশ শাখায় জামানত জমা দিতে হবে।
  • অফিস কতৃপক্ষ আপনার প্রতিষ্ঠানের মিটার বাজেট পাস করবে৷
  • কিছু দিনের মধ্যে আপনার বাসায় মিটার লাগানো হবে।
  • পল্লী বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ ফি সংক্রান্ত তথ্যাবলি
  • নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হলো ১০০-৩১২৫ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
  • বাড়ি/বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন ফি ১০০-২০০০ টাকা সমীক্ষা ফি।
  • সেচ সংযোগের জন্য ২৫০ টাকা সমীক্ষা ফি জমা দিতে হবে।
  • কোন ধরনের অস্তায়ী সংযোগের জন্য ১৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
  • প্রতিষ্ঠানের জন্য জিপি ২৫০০ টাকা এবং এলপি ৫০০০ টাকা।
  • পোল স্থানান্তর বা লাইন পরিবর্তন জন্য ৫০০ টাকা।
  • এবং নতুন সংযোগের জন্য মোট ৬০০ টাকা ফি

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • নতুন সংযোগের জন্য আবেদনপত্রের সাথে নিম্নোক্ত দলিলাদি দাখিল করতে হবেঃ
  • সংযোগ গ্রহণকারীর পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি
  • জমির মালিকানা দলিলের সত্যায়িত কপি
  • লোড চাহিদার কাগজপত্র
  • জমি/ভবনের ভাড়ার দলিল (যদি প্রযোজ্য হয়)
  • ভাড়ার ক্ষেত্রে মালিকের সম্মতিপত্রের দলিল
  • পূর্বের কোনো সংযোগ থাকলে ঐ সংযোগের বিবরণ ও সর্বশেষ পরিশোধিত বিলের কপি
  • অস্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে গ্রাহক শ্রেণির বিবরণ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ট্রেড লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • সংযোগস্থলের নির্দেশক নকশা
  • শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের নিমিত্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন।
  • পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্লান্ট স্থাপন (শিল্প ও বৃহৎ বাণিজ্যিকের ক্ষেত্রে)
  • বহুতল আবাসিক/বাণিজ্যিক ভবন নির্মাতা ও মালিকের সাথে ফ্ল্যাট মালিকের চুক্তিনামার
আমাদের আর্টিকেলে উল্লেখ করা সকল তথ্য গুলো যদি আপনি মনোযোগ সহকারে দেখেন। তাহলে আপনার নতুন লাইন বা সংযোগ নেওয়াতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। এর পরেও যদি আপনার সংযোগ নিতে কোন ধরনের সমস্যা হয়, বা কোন ধরনের প্রশ্নের মূখে পরেন তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। সময় দিয়ে থাকে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *