বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস

ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস | ভালোবাসা দিবস ও ইসলাম-Happy Valentine’s

সম্মানিত গ্রহক আপনাদের স্বাগতম জানিয়েছে আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করলাম। আজকে আমরা আপনাদের সামনে আলোচনা করব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আশা করি আপনাদের কাজে আসবে। তা ছাড়াও অনেক ভিজিটর আছে যারা সব সময় বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে রিসার্চ করে, আমরা তাদের রিসার্চ আরও উন্নত ও সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করার লক্ষে সব সময় আপনাদের সামনে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতার করার চেষ্টা করবো। আজকে আপনাদের সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে। অনেক ভিজিটর রয়েছে যারা এই ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান। আবার কেউ বিভিন্ন সালের ভালোবাসা দিবস টি কতে তারিখে বা দিবসটি উদযাপন হবে কি বার তা জানতে চায়। তাই আমরা আপনাদের সমানে আজকে এই টিউটোরিয়াল সকল আলোচনা করব আশা করি আপনারা সকল তথ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।

ভালোবাসা দিবসের এসএমএস

পৃথিবীতে সকল মানুষ ব্যস্থ, কিন্তু তারা এই দিনটি মানে ভালোবাসা দিবসের দিনটি তার মনের মানুষকে মনে করে দিতে চায়। ভালোবাসা দিবসের আনন্দ ভাগ করে নিতে চায়। আর আপনার মনের মানুষ আপনার কাছে আশা করতে পারে এই দিনটিতে বিশেষ কিছু। আর এই বিশেষ কিছু হলো সুন্দর কিছু এসএমএস। মনের মানুষ তার প্রিয় মানুষের কাছে আশা করতে পারে তাই আমরা সুন্দর কিছু এসএমএস তুলে ধরলাম নিচে।

আশা করি ১৪ ফ্রেরুয়ারী ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে পারবেন আমাদের এই এসএমএস গুলো দিয়ে। এবং এই এসএমএস গুলো পেয়ে খুব খুশি হবে আপনার মনের মানুষ, আপনাদের মাঝে আরও বেশি ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।

>

ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস

14 ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এই 14 ই ফেব্রুয়ারি বিশ্বের সকল মানুষেরা তাদের নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা আদান-প্রদান করে। বন্ধু বান্ধবী, ভাই বোন, মা ছেলে, ছাত্র-শিক্ষক, প্রেমিক প্রেমিকা সহ সকল সম্পর্কে আবদ্ধ মানুষেরা তারা নিজেদের ভিতরে ভালোবাসা আদান-প্রদান করে এই দিনটিতে। তারা এই দিনটিতে খুব আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করে। এই দিনটিতে পার্ক, সিনেমা হল বিনোদন কেন্দ্রগুলো পরিপূর্ণ থাকে। এই দিনটি উপলক্ষে তারা নিজেদের ভিতর ফুল বিনিময় করে ভালোবাসা প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করে।

তবে এই ভালোবাসা দিবস কয়েক বছর আগে এত বেশি ঘটা করে পালন করা হতো না বিশ্বব্যাপী। যুক্তরাষ্ট্র বা পাশ্চাত্য অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল এই দিবসটি। তবে বর্তমানে এই ভালোবাসা দিবসটি উদযাপন করে আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী। হয়তো আমরা সবাই এই ভালোবাসা দিবস উদযাপন করে থাকি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে এই ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি কোথা থেকে আসলো কিভাবে, আমরা আপনাদের সামনে ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে আসুন আমরা ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে আসি।

প্রাচীন রোমে 14 ই ফেব্রুয়ারি ছিল রোমান দেব-দেবীর রানী জুনার সম্মানের ছুটির দিন। সাধারণ অর্থে অনেকেই বলতো, জুনোকে রানী ও প্রেমের দেবদেবী বলে সবাই বিশ্বাস করত, 14 ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসেবে, এই কারণটিকে বলা হত। তাছাড়াও অনেকেই বলেছেন যে 200 খ্রিস্টাব্দে রোমের সম্রাট ক্লডিয়াস ঘোষণা করেন যে দেশের বিয়ে প্রথা নিষিদ্ধ করা হোক, এবং তিনি বিয়ে প্রথা বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন যুবকরা আজ থেকে বিয়ে করতে পারবেনা যুবকদের জন্য শুধুই যুদ্ধ। যদি যুবকরা বিয়ে করে তাহলে দূর সাহসী বীর যোদ্ধা খুঁজে পাবো না আমরা তাই তিনি বিয়ে প্রথা বন্ধ করে দেন। সম্রাট ক্লডিয়াসের অন্যায় ঘোষণার প্রতিবাদ করেন এক যুবক। এই যুবক সম্রাটের অন্যায় ঘোষণার প্রতিবাদ করেন এবং যুদ্ধ ঘোষণা করেন। অসীম সাহসী এই যুবকের প্রতিবাদ দেখে খেপে উঠেছিল সম্রাট। রাজদ্রোহী হিসেবে বন্দী করে তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় সম্রাট। 14 ই ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা এই যুবকের মাথা কেটে নেয় সম্রাট। এই প্রতিবাদী যুবকের নাম ছিল ভ্যালেন্টাইন। ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসার জন্য জীবন দিয়েছে 14 ই ফেব্রুয়ারি তাই তার নাম করে 14 ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে অর্থাৎ ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

এছাড়াও এসব ইতিহাসের অনেকেও দ্বিমত পোষণ করেছেন। প্রাচীন রোমে ভ্যালেন্টাইন নামে একজন চিকিৎসক ছিল তিনি মানুষের সেবা করতো। তিনি খ্রিস্টান ধর্মের ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই রাজ্যের সম্রাট ছিলেন ক্লডিয়াস। সম্রাট ক্লডিয়াস খ্রিস্টান ধর্ম কে পছন্দ করতেন না, আর তাই সম্রাট ভ্যালেন্টাইনকে সব সময় বিরক্ত করে আসতো। কিন্তু সম্রাট জানত না যে ভ্যালেন্টাইন একজন ভাল চিকিৎসক। সম্রাট ক্লডিয়াসের একটি মেয়ে ছিল অন্ধ চোখে দেখতে পেতো না। সম্রাট ক্লডিয়াস ভ্যালেন্টাইন এর কাছে তার মেয়েকে নিয়ে যায়, ভ্যালেন্টাইন সম্রাটের মেয়েকে কিছু দিন তার কাছে রেখে চিকিৎসা করে এবং সুস্থ করে। সম্রাটের মেয়েকে সুস্থ করে এবং ভ্যালেন্টাইন এর সাথে তার একটা প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় কিন্তু সম্রাট সেটা মেনে নেয় না। সম্রাট ভ্যালেন্টাইনকে বন্দী করে এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে 14 ই ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা ভ্যালেন্টাইনের মাথা কেটে নেওয়া হয়। সম্রাটের মেয়ে সেটা জানত না, কারাগার থেকে ভ্যালেন্টাইন চিরকুটের মাধ্যমে এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর জানতে পারে সম্রাটের মেয়ে। ভ্যালেন্টাইন 14 ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার জন্য জীবন দিয়েছে তাই এই দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

ভালোবাসা দিবসের ছবি

ভালোবাসা দিবসটি একটি বিশেষ দিন এই দিনটি যেন সকল মানুষের মনের মানুষের সাথে ভালে ভাবে কাটে এই আশা করি আমরা এবং দোয়া করি তাদের ভালোবাসা যেন সারা জীবন অটুট থাকে। ভালোবাসা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকল প্রেমিক তাদের প্রেমিকাকে সবার আগে উইস করতে চায়। তাদের উইস করার জন্য আমরা নিচে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়েছি। আপনি হাজারো ব্যস্থার মাঝেও মনের মানুষ কে উইস করতে ভুলবেন না তাই আপনি যেন সহজে আপনার মনের মানুষ কে উইস করতে পারেন এজন্য আমরা ভালোবাসা দিবসের কিছু ছবি তুলে ধরলাম যাতে খুব সহজে আপনি ছবি গুলো দিয়ে আপনার মনের মানুষ কে উইস করতে পারেন।

Happy Valentine’s
Happy Valentine’s

ভালোবাসা দিবস উইস

ভালোবাসা দিবস আসলে সকল ভিজিটর তাদের ভালোবাসার মানুষ কে উইস করতে চায় বিভিন্ন ভাবে। এবং তারা অপেক্ষায় থাকে কখন তাদের মনের মানুষ তাকে উইস করবে। সকল মানুষ তাদের মনের মানুষ কে একটু ভিন্ন ভাবে উইস করতে বা দেখতে চায়। তাই আমরা আপনাদের সামনে সুন্দর সুন্দর কিছু ছন্দ উল্লেখ করবো যাতে আপনি খুব সহজে আপনার মনের মানুষ কে উইস করতে পারেন। ভাই তার বেন কে, মা তার ছেলে কে, এবং প্রমিক তার মনের মানুষ কে উইস করতে পারেন আপাদের এই ছন্দ গুলো দিয়ে।

ভালোবাসা দিবসের ইংরেজি কি ?

আমরা দেখেছি যে বিভিন্ন ধরনের মতামত আসে আমাদের মাঝে আর তাই আমরা আমাদের সামনে উল্লেখ করবো ভালোবাসা দিবসের ইংরেজি কি? অনেক ভিজিটর জানতে চায় এবং আমাদের প্রশ্ন করে। তাই আমি আপনাদের সামনে ভালোবাসা দিবসের ইংরেজি সহ সকল তথ্য উল্লেখ করব। সাধারন ভাবে বলা যায় যে ভালোবাসা দিবসের ইংরেজি অনুবাদ হলো ( ভ্যালেন্টাইন ডে ) এই দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে অনেকে বিভিন্ন ধরনের আয়েজন করে থাকে। আমরা আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আমাদের সাথে থাকুন।

Happy Valentine’s Day

ভালোবাসা দিবসের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

ভালোবাসা দিবস নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রসন করছেন। এই ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করছি। আপনি মনেযোগ সহকারে দেখুন এবং ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এখন আমরা আপনাদের সামনে ভালোবাসা দিবসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব। ভালোবাসা দিবস বছরে শুধু মাত্র একটি আসে ১৪ ফ্রেরুয়ারী, আর সেটা আমরা বিভিন্ন ভাবে উদযাপন করে থাকি, তাই বলে এই নয় যে ভালোবাসা শুধু মাত্র একটি দিনের জন্য। ১৪ ফ্রেরুয়ারী ভালোবাসা দিবসের জন্য একটি বিশেষ দিন হলেও আমাদের উচিত প্রতিটি দিনকে ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা। আমাদের ভালোবাসা শুধু ভালোবাসা দিবসের জন্য তুলে রাখলে হনে না, সেটা আমাদের সব সময় পালন করতে হবে।

ভালোবাসা এক প্রকার হয় না৷ ভালোবাসা সবার জন্য থাকতে হয়। ১৪ ফ্রেরুয়ারী ভালোবাসা দিবস সেটা সবার জন্য। এই দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে অনেকে তাদের প্রিয় মানুষদের নিয়ে উদযাপন করে যেমন ভাই তার বোন কে উইস করতে পারেন, ছেলে মা বাবার কে এছাড়াও এই দিনে মনের মানুষ কে উইস করতে পারে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে এই দিনটি উদযাপন করে। কেউ তাদের প্রিয় মানুদের নিয়ে ঘুরতে যায়৷ আবার কেউ বাসায় বসে বিভিন্ন ধরনের রান্না করে। আবার কেউ বাহিরে গিয়ে মুভি দেখে। তাই আমরা আমাদের বলবো আপনি এই বিশেষ দিন উদযাপন করলেও যেন আপনাদের ভালোবাসা যুগ যুগ ধরে বহমান থাকে।

ভালোবাসা দিবস ও ইসলাম

ভালোবাসা দিবস আসলে মানুষ বিভিন্ন ধরনের চিন্তা করে এই দিনটি পালন করবে। তাই আমরা আমাদের এই টিউটোরিয়ালে আপনাদের বলতে চাই যে ভালোবাসা একটি পবিত্র জিনিস আমরা এমন ভাবে পালন করবো না যেন এই পবিত্র ভালোবাসার কোন অপমান না হয়। ভালোবাসা পবিত্র জিনিস এই পবিত্র ভালোবাসা আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন। তবে ভালোবাসা দিবস অথাৎ ১৪ ফ্রেরুয়ারী এই দিন টি বিশেষ ভাবে পালন করার কোন হাদিস নাই ইসলামে। ইসলামে বলা আছে ভালোবাসা পবিত্র আর এই ভালোবাসার পবিত্রতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। তাই আমরা আপনাদের সামনে বলবো ভালোবাসা দিবস টি যেন সুন্দর ও ধর্মীয় ভাবে পালন করা হয়, তাহলে ভালোবাসা পবিত্র থাকবে এবং ভালোবাসার মাঝে বরকত আসবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *