বাংলাদেশের সকল প্রান্তে যৌতুক প্রথার টি চালু রয়েছে। আমাদের দেশের মধ্যে সবথেকে বড় এবং অন্যতম একটি সামাজিক ব্যাধি হলো যৌতুক। এটি আমাদের দেশের একটি জঘন্যতম প্রথা। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য এই প্রথাটি কাজ করে থাকে। বিবাহের পর একজন ছেলে কিংবা তার পরিবার কনে পক্ষ থেকে যে ধরনের টাকা কিংবা অর্থ সাশ্রয় গ্রহণ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে তাকেই যৌতুক প্রথা বলে। আজকে আমরা এই যৌতুক প্রথা নিয়ে অর্থাৎ সামাজিক ব্যাধি নিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করব এবং সুন্দরভাবে উক্তি গুলো তুলে ধরব যাতে আপনারা খুব সহজেই এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন এবং শেয়ার করতে পারেন সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন।
যৌতুক কাকে বলে
অনেকেই রয়েছেন যারা যৌতুক কাকে বলে এই সম্পর্কে জানেন না তাই আমরা আপনাদের সামনে যৌতুক বিষয় তুলে ধরবো। একটি ছেলেকে বিবাহ দেওয়ার জন্য মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে যে অর্থ দাবি করা হয় তাকেই যৌতুক বলা হয়। সাধারণত বিয়ের সময় ছেলে পক্ষ মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে যে খরচ বাবদ অর্থ চাওয়া হয় তাকেই যৌতুক বলা হয়।
যৌতুক প্রথার কুফল কি কি
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। ছেলেপক্ষ তার ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য অর্থ দাবি করে মেয়েপক্ষের কাছ থেকে এই অর্থ অস্বাভাবিক ভাবে দাবি করার কারণে অনেক মেয়ে রয়েছেন অথবা অনেক বাবা রয়েছেন তারা তাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে পারেনা। তাই এটি সমাজের একটি সামাজিক ব্যাধি বলে ধরা হয়েছে। যৌতুক প্রথা চালু থাকলে সমাজে অর্থাৎ সংসারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় স্বামী-স্ত্রী। স্বামী স্ত্রীর সংসারে বিভিন্ন ধরনের ঝগড়া সৃষ্টি হয় এ যৌতুকের কারণে এবং সেই ঝগড়া গিয়ে দাঁড়ায় গুরুজনদের কাছে তখন তার এই জগরাটে গুরুজনরা ও সমাধান করতে পারে না তাই সমস্যা যৌতুক নিয়ে ছোট সমস্যা সৃষ্টি হলে সেটি ধীরে ধীরে বড় দিকে ধাবিত হয় এবং সেটি বড় আকার ধারণ করে। এই যৌথ প্রথাটির কারণে অনেক বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে এবং নারী নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছে অনেক নারী।
যৌতুক নিয়ে উক্তি
বর্তমান বাংলাদেশের যৌতুক প্রথার একটি মানসিক ব্যাধি হয়ে থাকলেও বর্তমান যুগ পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ সচেতন হয়েছে এবং যৌতুক প্রথা কে না করেছে তারপরেও অনেক সময় অনেক দিকে অনেক সমাজে যৌতুক প্রথা টি বড় আকার ধারণ করে। তাই অনেকেই রয়েছেন যারা যৌতুক নিয়ে উক্তি গুলো অনুসন্ধান করেন আমরা আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে যৌতুক নিয়ে উক্তি গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরলাম যাতে আপনারা খুব সহজেই আমাদের স্থান থেকে যৌতুক নিয়ে উক্তি গুলো সংগ্রহ করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন যৌতুক একটি জঘন্যতম অপরাধ।
কোনো স্বামী যদি স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক নেয় বরং সেই স্বামী স্ত্রীর কাছে বিক্রি হয়ে যায়।
যৌতুক এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যাধিবহু নারীরা এই ব্যাধিতে অভিশপ্ত জীবন ধারী।
যৌতুকের জন্য যে পুরুষ নারীর উপর হাত পা তুলেসেই পুরুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভিখারি।
যৌতুক প্রথাই নারী নির্যাতনের অন্যতম উপায়।
যৌতুক এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যাধিবহু কবীরা গুনাহর সমষ্টি।
কনের বাবা-মায়ের ভালোবাসাই বরের জন্য উত্তম যৌতুক।
বউয়ের বাবার টাকায় কেনা মোটরসাইকেলে চড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার শিক্ষক ক্লাশে রিডিং পড়া
—যৌতুক নেওয়া সামাজিক অপরাধ।
যৌতুক নিয়ে স্ট্যাটাস
যৌতুক একটি সমাজের সামাজিক ব্যাধি মানুষ এই যৌতুকের কারণে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে থাকে। মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় যৌতুক না দিলে মেয়ের বিয়ে হবে না এবং যৌতুক না দিলে মেয়ে ভালো জায়গায় বিয়ে হচ্ছে না। এই ধরনের নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বর্তমান সমাজের মানুষ। তাই অনেকে যৌতুক নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো অনুসন্ধান করে আমরা আপনাদের সামনে যৌতুক নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো তুলে ধরলাম। যাতে আপনি খুব সহজে আমাদের নিবন্ধনটি থেকে যৌতুক নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করতে পারেন এবং সেটি শেয়ার করতে পারেন সবার সাথে।
যৌতুক গ্রহণ সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নিষিদ্ধ।
যৌতুক প্রথা একটি সামাজিক ব্যাধি ও অভিশাপ।
ছেলে পক্ষের বরাবরই যৌতুকের প্রতি দৃষ্টি থাকেতবে সব ছেলে পক্ষ এক নয়।
যৌতুক নেওয়া জঘন্য পাপযৌতুক নেয় সমাজের নিকৃষ্ট মানুষগুলো।
বাল্য বিবাহ বন্ধ চাই যৌতুক বন্ধের বিকল্প নেই।
যৌতুক নিয়ে ইসলামিক উক্তি
আপনি যদি যৌতুক সম্পর্কে ধারণা নিতে চান অর্থবাদ যৌতুক নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের নিবন্ধটির সাথে থাকুন। আপনি এখান থেকে জানতে পারবেন যৌতুক নিয়ে ইসলাম কি বলে এবং যৌতুক সম্পর্কে ইসলামের কি ধারণা সেটি জানতে পারবেন। যৌতুক নেওয়া ইসলাম বলেন সম্পূর্ণ হারাম। কারণ যৌতুক নিলে শেটি জোর করে আদায় করা হয় বলে জানিয়েছে ইসলাম এবং যৌতুকের কারণে সংসারের সমস্যা হয় এজন্য অথবা সংসারের বিচ্ছেদ ঘটে এজন্য যৌতুককে হারাম করে দিয়েছে ইসলাম।
যৌতুক প্রতিকার করণীয়
আমরা যারা যুবসমাজ রয়েছি অথবা সমাজের মানুষ রয়েছে তারা যদি একতাবদ্ধ হই এবং নিজের ছেলে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময় যৌতুক দেওয়া নেওয়া থেকে বিরত থাকি তাহলে অবশ্যই যৌতুক প্রথা টি বন্ধ হয়ে যাবে। এবং আমাদের কাছে কেউ যদি যৌতুক দাবি করে তাহলে অবশ্যই তাকে বোঝাতে হবে ইসলামিক উক্তি দিয়ে এবং সে যদি না বুঝে তারপরে তাকে আইনের আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধ সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। আমরা নিজেরাই নিজেদের স্থান থেকে যদি যৌতুক কে না বলি তাহলেই বাংলাদেশ থেকে যৌতুক প্রথা টি উন্মোচন করা সম্ভব হবে। তাই সকলেই একতাবদ্ধ হন এবং যৌতুক কে না বলুন।
যৌতুক কোন ধরনের অপরাধ
যৌতুক একটি সামাজিক অপরাধ তাই আমরা সামাজিক অপরাধ করব না এবং যৌতুক নিবনা নিজের ছেলে মেয়েকে বিয়ে দিব যৌতুক ছাড়া এবং অন্যকে উৎসাহিত করব যৌতুক না নিতে। নিজ নিজ স্থান থেকে আমরা সতর্ক হই এবং যৌতুককে না বলি।
যৌতুক নিয়ে কবিতা
বর্তমান জেনারেশনের অনেক ছেলেমেয়ে অর্থাৎ অনেক মানুষ রয়েছেন যারা যৌতুক নিয়ে কবিতাগুলো অনুসন্ধান করেন কারণ তারা সরাসরি লাইভে এসে যৌতুক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কবিতাকে থাকেন এবং ফান ফলোয়ার বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তাই আপনি যদি যৌতুক নিয়ে কবিতা অনুসন্ধান করেন তাহলে আমাদের নিবন্ধনটি থেকে সংগ্রহ করতে পারেন আমরা নিচে যৌতুক নিয়ে কবিতা উপস্থাপন করলাম।
যৌতুক নিয়ে গবেষণা
কিছু দল বিজ্ঞানী যৌতুক নিয়ে গবেষণা চালিয়ে জানতে পেরেছেন যে। অনেক মেয়েপক্ষ রয়েছেন যে মেয়ের বাবা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বরপক্ষকে নানা ধরনের উপকরণ প্রদান করে থাকে। অনেক গরীব পরিবার রয়েছে যারা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ভালো পরিবারের সাথে মেয়ের বিয়ে দেয় কিন্তু কোনোরকম যৌতুক প্রধান করতে পারে না। যার ফলে বিবাহের পর যদি কোন স্ত্রী কিংবা তার পরিবার তার বাবার বাড়ি থেকে প্রদত্ত যৌতুকের উপকরণ প্রদানে ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে বিভিন্ন ধরনের নারী নির্যাতনের শিকার হতে হয়। মেয়ে পক্ষ থেকে যৌতুক দিতে ব্যর্থ হলে মানসিক নির্যাতন এবং শারীরিক নির্যাতন আরো বেড়ে যায় তখন সেই মেয়েটির আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হয় এবং আত্মহত্যা করে। গবেষণায় জানা গিয়েছে যে প্রতিবছর হাজার হাজার মেয়ে নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
যৌতুক নিয়ে কিছু কথা
এরপর একজন ছেলে কিংবা তার পরিবার কনে পক্ষের কাছ থেকে অস্বাভাবিক কিছু অর্থ দাবি করে। এই অস্বাভাবিক অর্থটি দাবি করার কারণটি হলো যৌতুক। মেয়ে পক্ষের কাছ থেকে যে অর্থ দাবি করা হয় সেটি হলো যৌথ কারণ মেয়েপক্ষ তার মেয়েকে পড়িয়েছেন এবং ভরণপোষণ দিয়েছেন তাকে যদি আবার অর্থ দিয়ে বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে ওই পরিবারের অর্থাৎ মেয়েপক্ষের আর কিছুই থাকে না। তাই যৌতুক কে না বলুন এবং সমাজকে সহযোগিতা করুন। মনে রাখবেন যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি যার ফলে প্রতিবছর শত শত মেয়ে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাই আজকে থেকে শপথ নিন যৌতুক কে না বলুন এবং যৌতুক থেকে বিরত থাকুন।
মেয়েরা হলো আল্লাহর দান তবে কেন যৌতুক চান।
যৌতুক প্রথার মাধ্যমে একজন পুরুষ স্ত্রীকে নয় বরং টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়।
অর্থের বিনিময়ে যদি কোন পুরুষ নারীকে বিবাহ করতে সম্মত হয়তাহলে সে কোন পুরুষই নয়।
মাইয়া নিমু মাগার যৌতুক নিমুনা….
বিঃ দ্রঃ যৌতুক চাইলে শশুর যদি পটল তুলে
পরিশেষে আমরা আপনাদের সামনে একটি কথাই তুলে ধরব আপনি যৌতুক নিবে না এবং যোগাযোগ কাকে নিতে দিবেন না। আমরা নিজ নিজ স্থান থেকে যৌতুককে না বলব। সমাজের মানুষ একত্র হয়ে কাজ করলে যৌতুককে না বললে যৌতুক উন্মোচন করা সম্ভব হবে আমাদের দেশ থেকে তাই আমরা সকলেই একত্র হয়ে যৌতুকের বিরুদ্ধে কথা বলব। যারা যৌতুক নিতে আগ্রহী তাদেরকে যৌতুক সম্পর্কে বোঝাবো ইসলামিক ধারণা দেব এবং তাদেরকে যৌতুক নিতে বাধা দিব। এতক্ষণ আমাদের সময় দিয়ে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।