আপনি যদি গোপাল ভার দেখতে পছন্দ করে থাকে তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আমরা আপনাদের সামনে গোপাল ভাঁড়ের কিছু অজানা তথ্যগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করব যে সকল তথ্যগুলো আপনি কোনদিনও শোনেননি বা শোনার কোন ইচ্ছাও করেন নাই। আমরা অনেকেই আছি যারা বড় হয়েও গোপাল ভাঁড় দেখতে পছন্দ করি কারন কার্টুন ছবি দেখে আমাদের ভালো লাগে। এমনকি গোপাল ভাঁড় দেখলে আমাদের কিছু জ্ঞান বৃদ্ধি পায় এজন্য আমরা গোপাল ভাঁড় দেখতে পছন্দ করি। আজকে আমরা আপনাদের সামনে গোপাল ভাঁড়ের সকল অজানা তথ্য এবং গোপাল ভাঁড়ের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি যদি গোপাল ভাঁড়ের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে দেখুন।
এছাড়াও আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা গোপাল ভার দেখতে পছন্দ করেন। কিন্তু তারা গোপাল ভাঁড়ের গোপালের চরিত্রে এবং গোপালের সাথে মন্ত্রী, রাজপুরোহিত, রাজবধূ, সেনাপতি, বিজ্ঞানী এইসব চরিত্রে যে সকল মানুষ অভিনয় করে থাকে তাদের পরিচয় সম্পর্কে আমাদের কখনো জানা হয়নি বা জানার কখনো ইচ্ছা হয়নি। তাই আজকে আমরা গোপাল চরিত্রে অভিনয় করে বা গোপাল নাটকে যেসব মানুষ অভিনয় করে তাদের পরিচয় গুলো আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরব যাতে আপনি খুব সহজেই গোপাল চরিত্রের গোপাল নাটকের যে সকল মানুষ অভিনয় করেন তাদের সকল বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করব। তাই আপনি যদি সকলের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আপনি সকলের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
গোপাল ভাঁড়ের ইতিহাস
আপনি হয়তো গোপাল ভার নামে নাম শুনেছেন কিন্তু তার পরিচয় সম্পর্কে কখনো জানেন নি। গোপাল ভাঁড় একজন সৎ বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন। গোপাল ভাঁড় ট্রেন মধ্যযুগের নদীয়া অঞ্চলের একজন প্রখ্যাত রম্যগল্প কার। গোপাল ভাঁড়ের আসল নাম হলো গোপাল চন্দ্র প্রামাণিক। তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদীয়া নদীয়া জেলার প্রখ্যাত রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় নিযুক্ত ছিলেন। গোপাল ভাঁড় ছেলে হিন্দু ধর্ম অনুসারী। যৌতুক গোপাল ভাঁড় ছিলেন হিন্দু এবং তার বুদ্ধি এবং সৎ লোক হওয়াতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং তার সহধর্মিণী তাকে খুবই পছন্দ করতেন। সেই আমলে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রাসাদের সামনে নির্মিত তার একটি ভাস্কর্য এখনো সেখানে আবিষ্কৃত হয়েছে। গোপাল ভাঁড় নামে কেউ ছিল কিনা এই সম্পর্কে কেউ কখনো বলতে পারেননি সঠিকভাবে। গোপাল ভাঁড় নামেদ ইতিহাসের পাতায় বা কোন অঞ্চলে কোন কিছু লেখা ছিল না। অনেকেই আনুমানিকভাবে বলেন যে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় গোপাল নামক একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিলেন সে সর্বদা রাজার সু পরামর্শ দিতেন এবং তার কল্যাণের কথা চিন্তা করতেন।
তবে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি যে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র যখন বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে কাজ করতেন, তখন গোপাল ভাঁড় রাজাকে উক্ত কাজ করতে নিষেধ করেন এজন্য রাজা কৃষ্ণচন্দ্র গোপাল ভার কে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেন, তবে রাজা গোপাল ভার কে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করার পরেই গোপাল ভাঁড় রাজার উপর অভিমান করে সে রাজ্য ছেড়ে চলে যায় তারপর থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজ্যে আর গোপাল ভার কে দেখা যায়নি। তবে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র গোপাল ভার কে বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান করার পরেও কোনোভাবেই গোপাল ভার কে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও তার সভাসদগণ এর পরিচয়
যেহেতু আমরা আপনাদের সামনে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং সবার সংগঠনের সকল পরিচয় নিয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা করব তাই আপনি যদি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সকল সদস্যগনের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে দেখুন। আমরা রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদগণ এর সকল মানুষের পরিচয় গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করব যাত্রী আপনি সহজেই জানতে পারেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সকল সদস্যগনের পরিচয় সম্পর্কে এবং তারা কোন ধর্মের কি কি কাজ করতেন তাদের আসল পরিচয় এবং তাদের সহধর্মিণীর নাম সমূহ সম্পর্কে। এজন্য আপনি সময় নষ্ট না করে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং কোনভাবেই স্কিপ করবেন না, তাহলেই আপনি আমাদের আর্টিকেলের দেওয়া রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এর সকল সভাসদগণ এর পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
গোপাল ভাঁড়ের পরিচয়
গোপাল ভাঁড় একজন রসিক মানুষ। তিনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় কাজ করতেন এবং রাজাকে সবসময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করতেন অর্থাৎ গোপাল ভাঁড় হলেন একজন ভার। তিনি সবসময় রাজাকে হাসিখুশি রাখতেন এবং তিনি বুদ্ধি এবং সৎ থাকায় রাজাকে সৎ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতেন। যেহেতু সদ এবং বুদ্ধিমান গোপাল ভাঁড় তাই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র গোপাল ভার কে খুবই পছন্দ করতেন এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সহধর্মিনী গোপাল ভার কে খুব ভালোবাসতেন। যদিও গোপাল ভাঁড় ছেলে নিম্নশ্রেণির নাপিত বংশীয় একজন ব্যক্তি। তবে বর্তমানে গোপাল ভার কে নিয়ে অনেকে অনেক বিভিন্ন ধরনের নাটক তৈরি করেছেন এবং সনি আটে গোপাল ভাড় সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং বিভিন্ন হাসির রগড় বুদ্ধিমানের নাটক তৈরি করে কার্টুন হিসেবে উপস্থাপন করেন।
জন্ম: গোপাল চন্দ্র প্রামাণিক. কৃষ্ণনগর, নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। তবে গোপাল ভাঁড় কবে জন্মগ্রহণ করেন এই বিষয়ে কখনো কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি কারণ সে সময় এটি অনেক আগের। এজন্য গোপাল ভাঁড় এর জন্ম তারিখ কেউ লিখে রাখেনি তাই আপনি আপনাদের সামনে গোপাল ভাঁড় এর জন্ম তারিখ সাল মার্চ কিছুই বলতে পারলাম না।
মৃত্যু: নদিয়া, ভারত
ধর্ম: হিন্দুধর্ম
পেশা : রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এর রাজসভার রম্য গল্পকার ভাঁড় ও মনোরঞ্জনকারী।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের মন্ত্রীর আসল পরিচয়
আমি অবশ্যই জেনে থাকবেন যে গোপাল নাটকের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের একজন মন্ত্রী ছিল। আপনি হয়তো সকল নাটকের বা সকল এপিসোডে আপনি দেখেছেন যে মন্ত্রী সবসময় খারাপ এবং শয়তানি বুদ্ধি দিয়েই থাকেন। কিন্তু আসলেই তিনি মন্ত্রী কি খারাপ ছেলে নাকি ভাল ছিলেন এই বিষয় নিয়ে আপনি সবসময় চিন্তা করেন। আজকে আমরা আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরব রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের মন্ত্রীর আসলে কে ছিলেন এবং তার আসল নাম কি এবং তিনি কেমন ছিলেন। তবে আপনি যদি গোপাল ভার দেখতে পছন্দ করেন সেখানে আপনি অবশ্যই মঞ্চে সম্পর্কে জেনেছেন। তবে আমরা বিভিন্ন ইতিহাস ঘাটাঘাটি করে দেখেছি যে গোপাল ভাঁড়ের মন্ত্রীর চরিত্রে এরকম কোন মানুষ ছিল না যারা মন্ত্রীর মত এরকম বাজে ছিল বাওই মন্ত্রীর মত ছিল। তাই পরিশেষে বলা যায় যে এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বিজ্ঞানী
আমরা কপালে পিছনে দেখেছি যে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের একজন বিজ্ঞানী ছিল তিনি খুব সহজ-সরল একজন ভদ্র মানুষ কিন্তু তিনি বিভিন্ন ধরনের আবিষ্কার করে থাকেন। তিনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিস আবিষ্কার করেন এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তার সকল আবিষ্কার দেখে খুব শিহোরিত হন এবং বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দিয়ে থাকেন। আসলে কি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় বিজ্ঞানী নামে কেউ ছিলো আসলে আমরা বিভিন্ন তথ্য ঘাটাঘাটি করে দেখেছি যে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় বিজ্ঞানী নামে কোন মানুষ এই ছিলেন না তাই এই চরিত্রটির কাল্পনিক বলে জানা গিয়েছে।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সেনাপতির পরিচয়
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সেনাপতি হিসেবে কাজ করতেন তার বিশ্বস্ত একজন মানুষ। এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সেনাপতি ছিলেন। রনজিত পাল নামে একজন মানুষ। তিনি সবসময় রাজার সকল বিষয় সর্ম্পকে মেন্টেন করতেন এবং তিনি তার সৈন্যদের দেখাশুনা করতেন। রনজিত পাল ছিলেন রাজার একজন সেনাপতি এবং সেনাদের প্রধান। সাধারণতঃ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রঞ্জিত সেন অর্থাৎ সেনাপতির উপরে বিশ্বাস করতেন।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবধূ
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বিভিন্নভাবে অসুস্থ হলে রাজপথে অর্থাৎ কৃষ্ণনগরের সকল রাজপুতদের নিমন্ত্রণ করা হতো এবং রাজার সকল ধরনের চিকিৎসা নেওয়া হতো এ জন্য নির্দিষ্ট কোন রাজবর্ত্ম রাখা হয়নি। তাই সাধারণত বলা যায় যে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নির্দিষ্ট কোন রাজ্য নামে কেউ ছিলেন না এবং তার চিকিৎসক নিজস্ব চিকিৎসক বলে কেউ ছিলেন না। তাই এই চরিত্রটি কাল্পনিক বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও আমরা কপালে পিছনে দেখেছি যে নেপলা, পুটি, গুলটে এছাড়াও চোর হিসাবে কাজ করতেন যেমন কেলে পচা, গটা ঘটা, এছাড়াও রয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীসহ গোপাল ভাঁড়ের বউ, পুটির বাবা, মন্ত্রীর বউ এ ধরনের বিভিন্ন চরিত্রে আমরা দেখতে পেয়েছি যে অনেকেই অভিনয় করে থাকে তবে আমরা ইতিহাসে দেখেছি যে এ ধরনের কোনো চরিত্র তুলে ধরা নেই। যেহেতু ইতিহাসে এ ধরনের চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করার নাই তাই আমরা আপনাদের সামনে বলতে পারি যে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় অর্থাৎ তার তার তল্লাটে এধরনের কোন মানুষ ছিলেন না এ ধরনের মানুষগুলো অভিনয় করে এই সকল চরিত্রগুলো কাল্পনিক বলে জানা গিয়েছে অর্থাৎ আমরা ধরে নিয়েছি যে এ ধরনের সকল চরিত্র কাল্পনিক হিসেবে কাজ করে।
গোপাল ভাঁড়ের ইতিহাস রচনা করে আমরা দেখেছি যে যেসকল তথ্যগুলো আমরা জানতে পেয়েছি তিহাস পড়ে আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরলাম যাতে আপনারা গোপাল ভার সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারেন এবং উপকৃত হন। যদি আপনি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের পছন্দের মানুষদের সাথে শেয়ার করবেন যারা গোপাল ভার দেখতে পছন্দ করে এবং গোপাল ভাঁড়ের সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা। গোপাল ভাঁড়ের সকল তথ্য জানতে এবং গোপাল সম্পর্কে অন্য কোন তথ্য জানলে আমাদের সাথে শেয়ার করুন। এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথে থাকুন। সময় দিয়ে সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।