আপনি কি সারা জীবন সিগারেট খেয়ে নিজের জীবনটা অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। আপনি সারাজীবন ধূমপান করেছেন বলে নিজেকে খুব বড় মনে হয় নিজের ফুসফুসকে নষ্ট করে ফেলেছেন সিগারেট বা অন্যান্য ধূমপান করে। তাহলে আমরা আপনাদের সামনে এমন একটি সলিউশন নিয়ে হাজির হয়েছি যাতে আপনারা খুব সহজেই ধূমপান পরিত্যাগ করতে পারেন। আপনি যদি সিগারেট ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে না পারেন তাহলে আমরা আপনাদের সামনে যে আর্টিকেলটি তুলে ধরব এই আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন, এবং আমাদের তুলে ধরা বাক্যগুলো এবং নিয়মগুলো অনুসরণ করে যদি আপনি শুধুমাত্র একটি মাস এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে চলাফেরা করেন তাহলে আমরা আশা করবো আপনি একটি মাসের মধ্যেই সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে পারবেন। খুব সহজেই আপনি সিগারেট খাওয়া বাদ দিতে পারবেন। এবং ধীরে ধীরে আপনি সকল ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য থেকে দূরে থাকবেন, এমন করেই আস্তে আস্তে আপনি একজন সাধারন এবং সুস্থ মানুষ হয়ে উঠবেন।
আজকে আমাদের আলোচনায় থাকছে আপনাদের সামনে কিভাবে আপনারা ধুমপান থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। ধুমপান করলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে। ধূমপান বা সিগারেট নিজের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকারক। সিগারেট বা মদ্যপান আমাদের কি ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের নেশা গুলো আমাদের কেন হয় এবং আমরা এই নেশা গুলো কিভাবে পরিত্যাগ করব এই বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে আমরা সুন্দরভাবে এই আর্টিকেলটি উপস্থাপন করব যাতে আপনি খুব সহজেই আমাদের আর্টিকেলটি সম্পর্কে জানতে পারে। এবং আপনি সকলের সাথে কে দূরে থাকতে পারেন। তাহলে চলুন আমাদের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
আগামী ২১-২২ অর্থবছরে বাজেটের ঘোষণা করা হয়েছে কিছুদিন আগে। ২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি প্রস্তাব। এবং সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, এমন অবস্থায় যারা ধূমপান করেন এবং সিগারেট বা মদ্যপান করেন তাদের অবশ্যই উচিত আমাদের সিগারেট খাওয়া বাদ দেওয়া। যদি আপনি সিগারেট খাওয়া বাদ দিয়েন তাহলে আপনাদের অনেক দিক থেকেই উপকারে আসবে। যেমন আপনি সিগারেট খাওয়া বাদ দিলে আপনার সিগারেটের বিলটি বেঁচে যাবে এবং সেই অর্থ দিয়ে আপনি অন্য কোন কাজে লাগাতে পারবেন, আবার অপরদিকে আপনি যদি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেন তাহলে আপনার শরীর এবং মন সকলের ক্ষেত্রেই উপকার। আপনি যদি সিগারেট খান তাহলে নিজের ক্ষতি করছেন এবং পাশে থাকা মানুষটির প্রতি করছেন কারণ সিগারেটের ধোঁয়া নিজের ফুসফুসকে নষ্ট করে এবং এইতো হওয়া পাশে থাকা মানুষ যদি সিগারেটের ধোঁয়া পেয়ে থাকে তাহলে তারও ফুসফুসে ক্ষতি করে।
সিগারেটের আগুন
আপনি যদি সিগারেট খেয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ম্যাচ বা কাঠের প্রয়োজন রয়েছে, আপনি সিগারেট জ্বালিয়ে নেওয়ার পর যখন ছেলেটি টেনে টেনে শেষ করবেন শেষ করার পর আগুন অবস্থায় এই সিগারেট টি রাস্তার ধারে অথবা কোন বাজারে গিয়ে ফেলে দেবেন, কখনো কি চিন্তা করেছেন যে এই আগুন থাকা অবস্থায় সিগারেটই যখন আমরা রাস্তার ধারে বা কোন বাঁশঝাড়ে নিচে ফেলে দেই, সেই আগুন টি ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করতে পারে এবং বাজারে থাকা খরকুটো তে আগুন লেগে সেটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। এবং রাস্তার পাশে কোন ময়লা আবর্জনা বা খড়কুটো সিগারেটের আগুন ফেলে দিলে সেখান থেকেও বাতাসের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর আগুনে পরিণত হতে পারে এবং সেজন্য আমাদের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য আমাকে সতর্ক থাকতে হবে যে সিগারেটের আগুন যেন আমরা সাবধানে ফালাই এবং সেটি নিরাপদে রাখার চেষ্টা করি।
বাংলাদেশের কিছু উন্নত মানের সিগারেটের ব্যান্ড
সম্মানিত পাঠক আপনি কি বাংলাদেশের উন্নত মানের ব্রান্ডের সিগারেট গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আমরা আপনাদের সামনে বাংলাদেশের যে সকল ব্র্যান্ডের সিগারেট গুলো আছে সেই সকল সিগারেট গুলোর তালিকা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যাতে আপনি আমাদের আর্টিকেলটি থেকে জানতে পারেন কতগুলো সিগারেট বাংলাদেশেই আছে এবং সেই সিগারেট গুলোর দাম কেমন হতে পারে এবং কোন কোন ব্র্যান্ডের কোন কোন সিগারেট সেটি আমরা আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করব। বাংলাদেশ উন্নত মানের সিগারেট ব্র্যান্ড রয়েছে এবং লোকাল এটিরও ব্র্যান্ড রয়েছে। সিগারেট কোম্পানি টোব্যাকো কোম্পানি বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের জন্য সিগারেট তৈরি করেছেন যারা যে পেশার তারা সেভাবে সিগারেটের ব্র্যান্ড অনুযায়ী খেতে পারবে, তাই সকলের জন্য লো কোয়ালিটি থেকে হাই কোয়ালিটি পর্যন্ত সিগারেট রয়েছে বাংলাদেশ, নিচে তা সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
সিগারেট খাওয়া বাদ দেওয়ার উপায়
যারা ধূমপানে আসক্ত, তাদের জন্য সিগারেট খাওয়া বাদ দেওয়া যেমন খুব কঠিন, এবং সিগারেট খাওয়া বাদ দেওয়া খুব সহজ বলে মনে করলেই চলে। তবে যারা সিগারেট খাওয়া বাদ দিতে চান এই সিদ্ধান্তটা গ্রহণ করা যেমন কঠিন তেমন বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন। যদি আপনি আপনার সিদ্ধান্তের উপর অটল থাকতে পারেন তাহলে আপনার দ্বারাই সম্ভব, আপনি আপনার সিদ্ধান্তের উপর অটল থাকলেই আপনি খুব সহজেই কিছুদিনের মধ্যেই সিগারেট খাওয়া বাদ দিতে পারেন। আপনি যদি আপনার সিদ্ধান্ত খুব কঠিন ভাবে বাস্তবায়ন করতে চান তাহলে আপনাদের টিপস গুলো আপনার জন্য, আপনি মন থেকে মেনে নিতে হবে যে আমি সিগারেট খাওয়া বাদ দিব তাহলে নিচের টিপসগুলো আপনি মনোযোগ সহকারে দেখুন খুব সহজেই আপনি আপনার জীবন থেকে সিগারেট কে বাদ দিতে পারবেন এবং সহজ-সরল একটি জীবন গঠন করতে পারবেন।
পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে
মন থেকে মেনে নিতে হবে ধূমপান ত্যাগ করার জন্য স্বচ্ছ পরিকল্পনা করতে হবে। নিজের সাথে নিজেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং নির্দিষ্ট একটি তারিখ নির্ধারণ করুন যে তারিখ থেকে আপনি আপনার জীবন থেকে স্মোকিং বাদ দিতে চান। যে তারিখ টি নির্ধারণ করতে চান সেই তারিখটি কোনভাবেই পিছানো যাবে না। এবং আপনার নির্ধারিত তারিখ হতে ধূমপান করা সকল বন্ধুদের সাথে কোন ধরনের ধূনপানীয় পার্টিতে যাওয়া বন্ধ করে দিন।
তালিকা করুন
আপনি তালিকা করুন এবং নিজের থেকে চিন্তা ভাবনা করে দেখুন আপনার ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার মূল কারণ কি এবং কি কি কারণে আপনি ধূমপান গুলো ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন। আশাকরি ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার আপনি অসংখ্য কারণ পাবেন। এবং তৈরি করুন আপনার নিজের ধূমপান করার কারণ সমূহ, আপনার আশপাশ মানুষের ধূমপানের কারণে ক্ষতি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে বা ধূমপানের কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কি ধরনের সাইডএফেক্ট হতে পারে সকল বিষয় সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট এবং যথাযথ তালিকা তৈরি করুন। এবং আপনার তৈরীকৃত তালিকাটি আপনি নিজের সঙ্গে রাখবেন যখন আপনার ধূমপান করার ইচ্ছা জাগবে তখন সেই তালিকাটি আপনার সামনে নিয়ে আসবেন এবং চিন্তা করবেন যে যেসব কারণে আমি ধূমপান দিতে চাচ্ছি, সেসকল কারণগুলো আমার নিজের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এবং আশপাশ মানুষের সকলের ক্ষতির কারণ তাই আমি ধুমপান ছেড়ে দিতে চাচ্ছি। তালিকাটি আপনার সামনে আসলে আপনি নিজেই ভেবে ধূমপান ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাববেন এবং তখন আপনার নেশাটি কেটে যাবে এবং ধূমপান করার ইচ্ছাটাই দূর হয়ে যাবে।
ইতিবাচক থাকুন, আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনি এর আগেও ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন আবার ব্যর্থ হয়েছেন কিন্তু এবারে সিদ্ধান্তটি কঠিন এবং যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে আপনাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ধূমপান পরিত্যাগ করতে পারবেন এবং সুস্থ সুন্দর জীবন গড়তে পারবেন। তাই আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আগের পরিকল্পনা মতো এবারের পরিকল্পনাটি যেন বেহেস্তে না যায় এজন্য আপনাকে কঠিনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেই নামতে হবে।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য খাবার পরিবর্তন
আমেরিকান গবেষণায় জানা গিয়েছে যে অনেকেই রাতের খাবারের পরে বা দুপুরের খাবারের পরে ধূমপানের জন্য আসক্ত বেশি হন, আবার আরেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, মাংসাশী খাবার খেলে সিগারেটের প্রতি নেশাটা বেড়ে যায়, তাই আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কিছু দিনের মধ্যেই মাংসাশী খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। এবং অনেকেই বলেছেন যে শাকসবজি ফলমূল খেলে সিগারেট এর প্রতিবাদ পানের প্রতি চাহিদা নষ্ট হয়ে যায় তাই আপনাকে খাবারের সময় শাকসবজি এবং ফলমূল খেতে হবে, অথবা আপনি রাতে বা দুপুরে খাওয়ার পরেই ফলমূল খেয়ে এমন একটি স্থানে চলে যান যে স্থানে ধূমপান বা মদ্যপান করার মতো কোনো সুযোগ নেই এমন স্থানে গিয়ে কিছুটা সময় কাটান তাহলেই আপনার জন্য সিগারেট বাদ দেওয়া টা খুব সহজ হয়ে যাবে।
এছাড়াও অনেকেই পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়ার পরেই সিগারেটের নেশা টি বেড়ে যায়, এলকোহল মিশ্রিত পানীয়ও, চা কফি, ইত্যাদি প্রাণের পরে অনেকেই সিগারেটের নেশা বাঁধন পান করার নেশাটা বেড়ে যায় তাই আপনাকে এই কিছুদিনের মধ্যেই পানীয় জাতীয় বা নেশাদ্রব্য পান করার যে সব উপকরণ রয়েছে তা আপনাকে ছেড়ে দিতে হবে। তাই আপনাকে অ্যালকোহল চা বা কফি এসব ধরনের খাবার বাদ দিয়ে ফ্রেশ পানি অথবা ফলের রস পান করা শুরু করে দিতে হবে। আপনাকে এমন ভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে যেন আগের বারের মতো ঘটনাগুলো এবারও না ঘটে এবং আপনার সিদ্ধান্ত যেন সফল না হয়।
ব্যস্ততা বাড়ান: আপনি দিনে কোন সময় টি ধূমপান বা মদ্যপান করেন সে সময় তিনি নির্বাচন করুন এবং সেই সময়টি সনাক্তকরণ। আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার কি কোন সময় টিতে বেশি মাদকাসক্ত হওয়ার এবং মদ্যপান বা ধূমপান করেন। যে সময়টিতে আপনার মত পান বোধন পান করার ইচ্ছাটা বেশি জাগে সেই সময়টিতে আপনি অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকুন। যদি সাধারণত আপনার কোন কাজ না থাকে তাহলে আপনি নিজেকে ব্যস্ত রাখুন এবং রাস্তায় বা আশপাশে কোন পার্কে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করুন।
সিগারেট খাওয়ার অপকারিতা
আমি যদি সিগারেট ও মদ্যপান থেকে বিরত রাখতে চান তাহলে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে শিখতে হবে, আপনি নিজেকে ব্যস্ত রাখলে ধূমপান বা মদ্যপান আপনার ইচ্ছা শক্তি বৃদ্ধি পাবে না। এবং অনেকেই আছেন যারা নিজের কষ্টদায়ক সময়গুলো মনে করে নিজেকে ধূমপানে ব্যস্ত রাখে, তাই আপনি যদি সিগারেট বা মদ্যপান থেকে বিরত রাখতে চান তাহলে আপনার কষ্টদায়ক সময়গুলোকে ভুলে থাকতে হবে এবং আপনাকে সব সময় অন্যান্য মজাদার চিন্তা করতে হবে। আপনি নিজেকে ব্যস্ত রাখতে বই পড়তে পারেন, এবং মন চাইলে আপনি সুন্দর সুন্দর নাটক গুলো দেখতে পারেন সামাজিক। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে মুভি দেখা যাবে না যদি আপনি মুভি দেখতে পছন্দ করেন তাহলে সেটা আপনাকে পরিত্যাগ করতে হবে তাহলেই সম্ভব আপনার মদ্যপান বা মাদকাসক্ত থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে।
অধূমপানীয় বন্ধু বাড়ান: আপনি সিগারেট খাওয়া এবং মদ্যপান নেশাগ্রস্ত থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই আপনার যেসব বন্ধু মদ্যপান বা ধূমপান করে তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। যেহেতু আমরা বন্ধুবান্ধব ছাড়া চলতে পারি না তাই আমাদের বন্ধুবান্ধব জীবনে বিশেষ প্রয়োজন। তাই আমরা এমন বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব করব যারা ধূমপান করে না বা অধমপানীয়।
খেলাধুলা ও ধূমপান
আপনাকে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হলে খেলাধুলার প্রতি আসক্ত বাড়াতে হবে, আপনার ব্যস্ততা বাড়াতে হবে, নিজেকে ব্যস্ত রাখতে শিখতে হবে। ব্যস্ত রাখার জন্য যদি আপনার কোন কাজ খুঁজে না পান তাহলে আপনি বই পড়তে পারেন অন্যথায় মাঠে গিয়ে খেলতে পারেন কারণ খেলাধুলা শরীরের জন্য ভালো এবং মনের জন্য খুব ভালো। একমাত্র খেলাধুলা এইবারে নিজেকে মাদকাসক্ত থেকে দূরে রাখতে। তাই আপনি নিজেকে খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করেন।
ধূমপান কমানোর জন্য খাদ্য: আপনাকে কখনো মুখ খালি রাখা যাবে না, আপনি যদি খুব বেশি ধূমপান করে থাকেন তাহলে আপনার সব সময় ধূমপান করার ইচ্ছাটা বেশি জাগবে। তাই আপনাকে কোনোভাবেই মূখখালী রাখা যাবে না, মৌখালী না রাখতে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের চকলেট খেতে হবে, সাথে চুইং গাম, লজেন্স ইত্যাদি জিনিস রাখতে পারেন যে সব ছোট বাচ্চারা খেতে পছন্দ করে। আগে আপনার যে পকেটের সিগারেট কমে আসছিল সেই প্রবলেমটি আপনি এখন রাখবেন চুইংগাম চকলেট লজেন্স ইত্যাদি। যখন ধূমপান করার জন্য আপনার পকেট এ্ হাত যাবে তখন যখন চকলেট হাতে পড়বে তখন চকলেট খাবেন তাহলে এমনি এমনি কিছুদিনের মধ্যেই আপনার নেশা কেটে যাবে।
ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ
আপনি চাইলে আপনাদের এলাকার বড় ভাইদের জিজ্ঞেস করতে পারেন যে তারা যারা ধূমপান করেছেন বা ধূমপান থেকে বিরত রয়েছেন তাদের সাথে কথা বলে নিজের কথাগুলো শেয়ার করতে পারেন। তারা যদি আগে সিগারেট বা ধূমপানকে করত এখন বাদ দিয়েছে তাদের কাছে সেই পরামর্শটা নিলেই আপনার উপকার হবে এবং আপনি নিজেকে আরো কঠিন ভাবে তৈরি করতে পারবেন।
- যে কোন জায়গায় ধূমপান কর্নার থেকে দূরে থাকুন
- ধূমপান বিরোধী এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার বই পড়তে পারেন
- নিরুপায় হলে সর্বশেষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে কাউন্সেলিং-এর সহায়তা নিতে পারেন।
- আদা খেতে পারেন। এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান নানাভাবে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকে দমিয়ে দেয়। আদা চা বা কাঁচা আদা খেতে পারেন।
- নিকোটিনের মতো টক্সিনের সঙ্গে লড়াই করতে প্রতিদিন ভিটামিন এ, সি ও ই সমৃদ্ধ ক্যাপসুল অথবা খাবার খান। এতে সিগারেটের নেশা কমে যাবে।
- মধুতে থাকা ভিটামিন, এনজাইম এবং প্রোটিন শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেয় ও সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকেও নিয়ন্ত্রণে করে।
শেষ কথা
বাংলাদেশ আমাদের একটি ছোট ও সুন্দর দেশ, তবে বর্তমানে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসা এবং মাদকাসক্ত বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের মধ্যে কমপক্ষে ৯০ শতাংশ ছেলে নেশাগ্রস্থ বা সিগারেট বা মদ্যপান ধূমপান করেন। একটি ছোট গবেষণায় জানা গিয়েছে যে ক্লাস ৭ থেকে ক্লাস ১২ পর্যন্ত এই ক্লাসে পড়া ছাত্ররা বর্তমানে বেশি মাদকাসক্তি আসক্ত। তারা নিজেকে অল্প বয়সে অল্পসময়ে নিজেকে মাদকাসক্তি সরিয়ে ফেলেছেন এবং কিভাবে তারা মাদকাসক্ত থেকে বেরিয়ে আসবেন তা নিয়ে চিন্তিত।
তবে আমরা আরও গবেষণায় দেখেছি যে বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে মেয়েরাও অনেকেই নেশাগ্রস্থ, তারা বিভিন্ন ধরনের মাদকাসক্তির সাথে জড়িত। তারা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে বা সিগারেট ধূমপান করে। যতই দিন যাচ্ছে ততই মেয়েরাও মাদকাসক্তির প্রতিরাত শক্তি বেশি হয়ে যাচ্ছে। ধূমপান নিজের এবং আশপাশ মানুষ এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর একটি দ্রব্য। তাই আমাদের অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং নিজেকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে অন্যকে সহযোগিতা করতে হবে।
প্রিয় পাঠক আমরা আপনাদের সামনে আমাদের এই আর্টিকেলটি উপস্থাপন করলাম আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। যেহেতু ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য সেবন করে অনেকেই তাই আপনি নিজের জন্য পড়তে পারেন এবং অন্যদেরকে দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন। ধূমপান ছাড়লে সবাইরেই জন্য উপকার হয়। তাই আপনি এই সিগারেটের বিষয়টি সবার সাথে শেয়ার করবেন এবং সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিবেন, তাহলে আমরা আশা করি সকলেই ধূমপান থেকে বিরত থাকতে পারবে। এতক্ষণ সময় দিয়ে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে আপনি যদি কোনভাবে সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকেন বা আগে সিগারেট খেয়েছেন এখন বাদ দিয়েছেন তাহলে আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমাদের সাথে শেয়ার করবেন তাহলেই আমরা আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছুটা আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে উপস্থাপন করতে পারব।