বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস যা ২৬শে মার্চ তারিখে পালিত বাংলাদেশের জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে (কাল রাত) বলে ঘোষনা করা হয়। এবং 26 শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রপতি আমরা সাজিয়েছি স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে। আপনি যদি স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে দেখুন। আমার নিচে স্বাধীনতা দিবসের পাঁচটি বাক্য সহ উল্লেখ করলাম।
1971 সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। তাই আমরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করে থাকি। আমরা সকল শহীদদের স্মরণে এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামরা করে ফুল দিয়ে সম্মান জানিয়ে সারা দিনের আয়োজন শুরু করি। আমরা সারা দিন বিভিন্ন ধরনপর কার্যক্রম করি।
স্বাধীনতা দিবসে উদযাপন কর্মসূচী
আমরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সারা দিন যা যা করি তা নিআপ তুলে ধরা হলো। পতাকা উত্তোলন, প্যারেড, পুরস্কার অনুষ্ঠান, দেশাত্মবোধক গান এবং জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।
স্বাধীনতার ঘোষণা
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ শে মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার আগে ২৫ শে মার্চ রাতে অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেন। তৎকালীন চট্টগ্রামে অবস্থিত ই. পি.আর এর ট্রন্সমিটারে করে প্রচারের জন্য পাঠানো হয় ঘোষনা পত্র টি।
ঘোষনা পত্র; এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা নিয়ে পাঁচটি বাক্য
কেবলমাত্র বোমা বা বন্দুক দিয়ে বিপ্লব আসেনা, বিপ্লবের তলোয়ার ধার পায় বৈপ্লবিক চিন্তাশক্তিতে। – ভগৎ সিং
- জাতির পিতার একটি ডাকে
যুদ্ধ হলো শুরু
ইয়াহিয়ার ষড়যন্ত্র
ভুট্টো নাটের গুরু।
2. লাল -সবুজের এই পতাকা
পেলাম যুদ্ধ শেষে
বীর বাঙালি ফিরে এলো
স্বাধীন বাংলাদেশে।
3. শেখ মুজিবুর লাল সবুজের
শ্রেষ্ঠ সেরা ছবি,
শেখ মুজিবুর তোমার আমার
স্বাধীনতার কবি।
4. শেখ মুজিবুর দেশ জাগালো
শ্রেষ্ঠ ভাষণ দিয়ে,
শেখ মুজিবুর দেশ বাঁচালো
বুলেট বুকে নিয়ে।
স্বাধীনতা দিবসের বানী
- স্বাধীনতা এক অমূল্য উপহার যা আমাদের দিয়েছে বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।
- “নিজের দেশকে ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি অপরাধী।”
- ”স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক। মানুষের সবচেয়ে বড় এই কৃতিত্ব কেউ যেন কখনও ভুলে না যায়” – নেলসন ম্যান্ডেলা
- আমরা ধর্মের ভেদাভেদে দেশ ভাগ হতে দেখেছি। তাই আর ধর্মের নামে লড়াই নয়, বরং এবার দেশের ঐক্যতা রক্ষার স্বার্থে হাতে হাত মেলাই।
স্বাধীনতা দিবস কবে থেকে পালন করা হয়
1971 সালের রক্তক্ষয়ী 9 মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময় আমরা ১৬ ডিসেম্বর যে বিজয় লাভ করি তার পর থেকে আমরা প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করি। বাংলাদেশ যতোদিন থাকবে আমরা এই দিবস পালন করে যাবো সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হব।