হারাম নিয়ে উক্তি

হারাম নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস,ক্যাপশন,বাণী-হালাল হারাম নিয়ে উক্তি

আল্লাহতালা সকল বান্দা দের বলেছেন তোমরা হারাম থেকে দূরে থাকুন এবং হালাল রুজি নির্ভরশীল হও। আল্লাহতালা বান্দাদের উপর কিছু জিনিস ফরজ করেছেন যা পরিত্যাগ করা জায়েজ নয়, এবং কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো পরিত্যাগ করা জায়েজ। আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেনঃ আমি তোমাদের যে দিকে নির্দেশ করেছি সেই দিকটা তোমরা ফলো করো এবং যেদিকে আমি হালাল করে দিয়েছি সেই জিনিসগুলো তোমরা ভোগ করো। এবং তোমাদের যে জিনিসটা নাজায়েজ করেছি সেটা থেকে তোমরা দূরে থাকো। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে কথা বলব হারাম এবং হালাল নিয়ে। যারা হারাম এবং হালাল নিয়ে উক্তি গুলো অনুসন্ধান করেন তাদের জন্য আমাদের এই প্রতিবেদনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনারা যারা হারাম নিয়ে উক্তি গুলো অনুসন্ধান করেন তারা আমাদের এই প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে দেখুন আশা করি সকল তথ্য পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।

হারাম নিয়ে উক্তি

বর্তমান অনলাইনের যুগে আমরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে সংযুক্ত রয়েছে। এবং সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে আমাদের অনেক বন্ধুবান্ধব রয়েছে। এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে আমরা অনেকেই আছি যারা লেখালেখি করতে ভালোবাসি। অনেকেই আছেন যারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে ইসলামিক বিষয়ে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। এছাড়াও অনেকেই আছেন যারা ইসলামিক বিষয়গুলো নিয়ে তাদের বন্ধু-বান্ধবদের সতর্ক বার্তা দিতে চান। তাই আপনাদের জন্য উপযুক্ত বিষয় হচ্ছে হারাম নিয়ে উক্তি। আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলাম হারাম নিয়ে উক্তি গুলো। আপনারা খুব সুন্দর ভাবে হারাম নিয়ে উক্তি গুলো আমাদের প্রতিবেদনটি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় বান্দাদের উপরে কিছু জিনিস ফরয করেছেন, যা পরিত্যাগ করা জায়েয নয়, কিছু সীমা বেঁধে দিয়েছেন, যা অতিক্রম করা বৈধ নয় এবং কিছু জিনিস হারাম করেছেন, যার ধারে কাছে যাওয়াও ঠিক নয়। ]

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন

হে ঈমানদারগণ! চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া বন্ধ করো এবং আল্লাহকে ভয় করো তাহলেই তোমরা সফলকাম হবে।

– আল ইমরানঃ ১৩০

হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো ও সুদের যা বকেয়া আছে তা বর্জন করো যদি তোমরা সত্য মুমিন হয়ে থাকো ।

– সূরা বাকারাঃ২৭৮

আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লংঘনকারী ও হারাম অবলম্বনকারীদেরকে আল্লাহ তা‘আলা ভীতি প্রদর্শন করেছেন।

‘তোমাদের জিহবায় মিথ্যা উচ্চারিত হয় বলে তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপের মানসে বল না যে, এটা হালাল, ওটা হারাম’

হারাম নিয়ে স্ট্যাটাস

আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের কাজ কর্মে লিপ্ত হয়ে থাকি, অনেক সময় আমরা বিভিন্ন ধরণের খাবার না বুঝে খেয়ে থাকি কিন্তু আমাদের অবশ্যই ভাবতে হবে সেই খাবারটি হারাম নাকি হালাল। আল্লাহ তাআলা নির্দেশ করেছেন আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল খাবার হারাম নাকি হালাল সকল জিনিস গুলো যাচাই করেই ভোগ করতে হবে। এবং সেই অনুযায়ী অনেকেই আছেন যারা হারাম নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো অনুসন্ধান করেন আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে হারাম নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলাম আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

দুর্নীতি ঘুষ নয়, ঘুষই দুর্নীতি।

– অলিক আইস

 

ঘুষ ছোট হলেও বড় ধরনের দোষ।

– এডওয়ার্ড কোক

 

ঘুষ আদান-প্রদানকারী উভয়েই জাহান্নামে যাবে।

– তাবরানি

 

ঘুষের চেয়ে ব্ল্যাকমেইল বেশি কার্যকর ।

– জন লে কেরি

 

ঘুষদাতা ও গ্রহীতা উভয়ের ওপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হয়।

– রাসূল (সাঃ)

 

আল্লাহ কেনাবেচা তথা ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম। –

সূরা বাকারাঃ ২৭৬

 

সৎ লোকেদের ঘুষ দিতে পারবেন না, কিন্তু খারাপ লোকেরা ঘুষ গ্রহণ করবে ।

– অ্যান দ্বীপ

হালাল-হারাম নিয়ে উক্তি

কিছুসংখ্যক ভিজিটর রয়েছেন যারা হালাল-হারাম নিয়ে উক্তি গুলো অনুসন্ধান করেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মগুলোতে। তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আমরা তাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই হালাল-হারাম নিয়ে উক্তি গুলো। যাতে তারা খুব সুন্দরভাবে এবং খুব সহজেই আমাদের প্রতিবেদনটি থেকে হালাল-হারাম নিয়ে উক্তি গুলো সংস করতে পারে এবং তারা তাদের প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে পারে। এবং সকলকে দেখার সুযোগ করে দিতে পারে হালাল-হারাম নিয়ে উক্তি গুলো।

যাকে আল্লাহভীতি দান করে সম্মানিত করা হয়নি তার আর কোনো সম্মানই নেই।
— ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)

 আল্লাহর প্রত্যেকটি ফয়সালাই ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তিশীল। সুতরাং কোন অবস্থাতেই অভিযোগের ভাষা যেন তোমার মুখে উচ্চারিত না হয়।
— ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)

সে-ই প্রকৃত পুরুষ যে আল্লাহর জন্য কাঁদে।
— ওমর সুলাইমান

কারো সাথে কথোপকথনে বিনয়ী হওয়াটা একজন ব্যক্তির জন্য আবশ্যক।
— ইমাম আল-কুরতুবী (রহিমাহুল্লাহ)

হালাল খাবার সমূহ

আল্লাহু তালা আল কুরআনে উল্লেখ করেছেন হালাল খাবার সমূহ সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য। এবং সেইসাথে বলেছেন আমার সকল বান্দারা হালাল পথে চলবে এবং হালাল খাবার অনুসন্ধান করবে। তাই অনেক পাঠক রয়েছেন যারা হালাল খাবার সমূহ অনুসন্ধান করেন এবং কি কি খাবার আমাদের জন্য হালাল করেছেন আল্লাহ তা’আলা এইজন্য তারা বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করেন। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করার সকল জিনিস পত্রের মধ্যে কোনটি হালাল এবং হারাম সেটি যাচাই করার জন্য আমাদের এই প্রতিবেদনটি সাথে থাকতে পারেন। আমরা আপনাদের সামনে উল্লেখ করব দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জিনিস পত্রের মধ্যে কোনটি হালাল এবং হারাম তাই সে সকল জিনিসপত্র জানতে প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি সকল তথ্য পেয়ে উপকৃত হবেন।

উট, গরু, ছাগল, খরগোশ, হরিণ, পাহাড়ী ছাগল, মুরগী, কবুতর, হাঁস, রাজহাঁস, উটপাখি ইত্যাকার যবেহকৃত প্রাণীর গোশত হালাল।
-মৃত পঙ্গপাল ও মাছ হালাল।
-শাক-সবজি, ফলমূল, সকল দানাশস্য ও উপকারী ফল-ফুল হালাল। পানি, দুধ, মধু, তেল ও শিরকা হালাল। লবণ, মরিচ ও মসলা হালাল।
-লোহা, বালু, খোয়া, প্লাস্টিক, কাঁচ ও রাবার ইত্যাদি ব্যবহার হালাল।
-খাট, চেয়ার, টেবিল, সোফা, তৈজসপত্র, আসবাবপত্র ইত্যাদি ব্যবহার হালাল।
-জীবজন্তু, মোটরগাড়ী, রেলগাড়ী, নৌকা, জাহাজ ও বিমানে আরোহণ হালাল।

আমাদের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সামনে উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি হালাল এবং হারাম জিনিসের মধ্যে পার্থক্য সমূহ। এবং আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি হালাল এবং হারাম কিভাবে বাছাইকৃত করে আপনারা ভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি হালাল এবং হারাম নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি। যুক্তিগুলো আপনি অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করে এবং সকল বন্ধুদের কে দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন। আমাদের এই প্রতিবেদনটি আমরা সাজিয়েছি শুধুমাত্র আপনাদের উপকার করার জন্য আশা করি আপনারা উপকার পেয়েছেন। এছাড়াও হালাল হারাম সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন মতামত থেকে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *