ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সাথে থাকুন। এবং মনোযোগ সহকারে দেখুন আমাদের পোস্টটি তাহলে জানতে পারবেন কি ভাবে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করতে পারবেন। আমরা নিচে সকল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের সামনে উল্লেখ করলাম। আপনি কি একজন ড্রইভার, তাহলে আপনাকে অবশ্যই গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। আপনি বিআরটিএ অফিস থেকে সরকারি ভাবে আপনার লাইসেন্স করে নিতে পারেন। আপনি যদি নতুন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিআরটিএ অফিসের নিয়ম অনুযায়ী সকল কাগজ পত্র নিয়ে উপস্থিত হতে হবে। আপনি আপনার নিকটস্থ বিআরটিএ অফিসের গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করে নিজের ড্রইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন জমা দিতে পারেন। সামান্য ফি দিতে হবে যা সরকারি আইননুসারে। এবং আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে কোন ভাবে দালালের হাতে নিজের কাজ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আমরা সাধারণত পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা গাড়ি রেজিস্টার করার কথা ভাবলে প্রথমে মাসের মাথায় আসে কাকে দিয়ে আমরা এ ড্রাইভিং লাইসেন্স করাবো। অথবা আমরা সাধারনত ভাবিকে কোন দালাল দিয়ে আমাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিক করা বা কোন দালালের মারফতে আমরা কাজটি করাবো কোন দালাল কত টাকা নিবে এবং কত টাকা দিয়ে তারা করাবে এবং কোন দালাল কতটা বিশ্বাসযোগ্য হবে। আবার আমরা অনেকেই ভাবি যে দালাল ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স হয় না।
সাধারণত আমরা নিজেই চেষ্টা করি নিয়মবহির্ভূত উপায় ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য। তাই আমরা সবসময় দালালের হাত ধরে থাকি এবং দালালের মাধ্যমে আমাদের নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট করে থাকি। যখন আপনার দালালের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স কি করবো তখন দালাল নিজের একটি পুঁজির জন্য চাহিদা করবে। এবং দালালের দাঁড়া করাইলে তারা নিজের জন্য একটি বুঝি রেখে দিবে তারপরে আপনার কাছে টাকা পেমেন্ট করবে। তবে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে আপনি যদি সঠিক পথের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিক করতে চান তাহলে আপনি সরাসরি বিআরটিএ অফিসে যোগাযোগ করে নিজের সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স কি করতে পারেন।
মিরপুর বিআরটিএ শাখার রেজিস্টার ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকরা যদি সচেতন হয় তাহলে হয়রানি কমে যাবে বিআরটিএ দালাল মুক্ত করার জন্য আমরা পরিকল্পনা করতেছি এবং সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আগে যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা হতো সেভাবে দালালের চক্রান্ত বেশি ছিল তবে এখনও আমরা লাইসেন্স-পাসপোর্ট এবং সকল কাগজপত্র অনলাইনের মাধ্যমে করায় দালালের কোন ধরনের চক্রান্ত করা সম্ভব নয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সমূহ
ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লায়লার বা শিক্ষানবিশ-ড্রাইভিং-লাইসেন্স থাকা। তবে আবেদনকারীর নূন্যতম যোগ্যতা হলো অবশ্যই অষ্টম শ্রেণী পাস করতে হবে। এবং আবেদনকারীকে অপেশাদার লাইসেন্স গ্রহণের জন্য 18 বছর এবং পেশাদার লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে অবশ্যই 21 বছর হতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীকে অবশ্যই মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। এবং অবশ্যই থাকে দক্ষ ড্রাইভার হতে হবে।
ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন
আমরা যারা চিন্তা করেছি দালাল ছাড়া কোনদিনও ড্রাইভিং লাইসেন্স করা সম্ভব নয় তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তাই ঘরে বসেই আমরা সকল ধরনের কাজকর্ম করতে পারি। তাই বর্তমানে দালাল মুক্ত করতে আমরা ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারি। আপনি চাইলে কোন ধরনের দালাল ছাড়া ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। গ্রাহকেরা প্রথমেই লায়লার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ অনলাইনে আবেদন করতে হবে। গ্রাহক যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্য আবেদন করতে চায় তাহলে তার স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ, যেমন বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের ফটোকপি দিয়ে বিআরটিএ সার্কেল অফিস আবেদন করতে হবে।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রকৃতি
- পেশাদার হালকা: ( অবশ্যই মোটরযানের ওজন ২৫০০ কেজি এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে।
- পেশাদার মধ্যম: ( অবশ্যই মোটরযানের ওজন ২৫০০-৬৫০০ কেজি এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার বয়স কমপক্ষে 23 বছর হতে হবে এবং পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ব্যবহার কমপক্ষে ৩ বছর হতে হবে।
- পেশাদার ভারী: (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে এবং পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফীঃ
(ক) ০১ (এক) ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা (শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান অর্থাৎ যে কোনো এক ধরণের মোটরযান)
(খ) ০২ (দুই) ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা (মোটরসাইকেল এবং হালকা মোটরযান একসাথে অর্থাৎ মোটরসাইকেলের সাথে যে কোনো এক ধরণের মোটরযান
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবদনের জন্য কাগজপত্র সমূহ
আপনি যদি আপনার নিজের গাড়ি চলার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য চিন্তা করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কত টাকা খরচ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে কত টাকা ব্যয় হতে পারে। এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে যেসব কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে সেসব কাগজপত্র সম্পর্কে তাই আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে সুন্দরভাবে উল্লেখ করব আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে কি কি কাগজপত্র নিয়ে যাবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সকল কাগজপত্র সমূহ।
- নির্ধারিত ফরমে আবেদন
- রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড অর্থাৎ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি।
- নির্ধারিত ফি
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য খরচ ১৬৭৮ টাকা।
- অপেশাদার দের জন্য নির্ধারিত ড্রাইভিং লাইসেন্স খরচ ২৫৪২ টাকা।
- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন।
- সদ্য তোলা এক কপি রঙিন ছবি পাসপোর্ট সাইজের।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
- ২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- ৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
- ৪. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
- ৫. নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।
- ৬. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
- ৭. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স
গ্রাহকের প্রথমেই নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণ 15 দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭ টাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ণের 15 দিন পর হলে প্রতিবছর 230 টাকা করে জরিমানা সহ। জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিআরটিএ নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের আবেদন পত্র এবং সংযুক্ত কাগজপত্র ঠিক পাওয়া গেলে একই জিনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড পৃন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহকের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স
আপনি যদি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারী দেশ আবার একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। ( মেয়াদ উত্তীর্ণের 15 দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫ টাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ণের 15 দিন পর পর প্রতি বছরে 230 টাকা জরিমানা সহ) সকল কাগজপত্র বিআরটি নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের সকল ধরনের কাগজপত্র প্রক্রিয়া করার পর সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আমাদের আর্টিকেলটিতে থেকে যদি আপনি কোন ধরনের উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন এবং যদি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার আরো ভালো লাগে তাহলে আপনাদের প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাই কিন্তু কিভাবে করবে কোন মাধ্যমে করবে কার মারফতি করবে এসব ধরনের চিন্তাভাবনা করে আছে তাদেরকে এই আর্টিকেলটি শেয়ারের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন যে কোন ধরনের দালাল ছাড়াই অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট-ভিসা সকলের আবেদন করা যায়।