বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা

বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা | বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা ও দাম

একজন নবজাতক যখন পৃথিবীতে পদার্পণ করেন অথবা পৃথিবীতে আসে তখন তার পরিবারের সকল সদস্য খুশি হন। এবং সেই নবজাতককে সকলেই ভালোবাসেন এবং সেই নবজাতকের আদর যত্ন করেন সকলেই। নবজাতক যখন পৃথিবীতে আসেন তার আত্মীয়-স্বজন সকলেই তাকে ভালবাসেন এবং তাকে নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন। সকলেই চিন্তা করেন এই নবজাতক কি ধরনের খাবার খাওয়ানো উচিত এবং কি ধরনের সমস্যা হলে কি ধরনের ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন এছাড়াও তাদের কি ধরনের পোশাক পরানো উচিত এবং তাকে ঠান্ডা লেগেছে কিনা এ ধরনের সকল তথ্যগুলো তারা বা সকল বিষয়গুলো তারা একটু দেখভাল করে। এবং ছোট বাচ্চাদের পছন্দ করেন না এমন মানুষ বর্তমানে খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর।

একজন নবজাতক যখন পৃথিবীতে আসেন তখন তার বাবা-মা খুব খুশি হন এবং তার বাবা-মা তার যত্ন নেন অনেক সতর্কতার সাথে। সব সময় ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নেন বাচ্চার কোনো রকম সমস্যা হলে। তবে অনেক সময় অনেকেই চিন্তিত থাকেন বাচ্চা নানা রকম সমস্যা হলে কি ধরনের ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন হয় এ ধরনের তথ্য গুলো অনুসন্ধান করতে। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব বাচ্চাদের গ্যাসের ওষুধের তালিকা গুলো সম্পর্কে। যারা বাচ্চাদের জ্ঞান নিয়ে চিন্তিত বা গ্যাস হলে কি ধরনের ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন নির্ধারণের বিষয় নিয়ে চিন্তিত তারাই প্রতিবেদনটি থেকে খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন বাচ্চাদের গাছের ওষুধের নামের তালিকা গুলো।

বাচ্চাদের গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা

একজন নবজাতক দিনে 15 থেকে 20 বার খাওয়ানো প্রয়োজন তার সুস্থ রাখার জন্য। এবং ছোট বাচ্চাদের গ্যাস বের হয় দিন নিয়ে কমপক্ষে 10 থেকে 15 বার তাই এই গ্যাস বের হওয়া নিয়ে বাবা-মা অনেক চিন্তিত থাকেন। বেশিরভাগ সময় এই বিষয়টি বাচ্চাদের জন্য খুবই অস্বস্তিকর এবং অস্বাস্থ্যকর। এটি অনেক সময় বাচ্চাদের ক্ষতিকর একটি বিষয় হতে পারে এবং বাচ্চাদের পেটে যখন বেশি গ্যাস বা অতিরিক্ত গ্যাস জমে থাকবে তখন পেটে ব্যথা হতে পারে এবং অশান্তিকর হতে পারে নবজাতকের জন্য। তাই অবশ্যই সকল মা-বাবাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন বাচ্চাদের পেটে গ্যাস জমে না থাকে। গ্যাস জমে থাকলে বাচ্চার পেটে ব্যথা হবে এবং নানা রকম সমস্যা দেখা দিবে তাই অবশ্যই বাচ্চাদের গ্যাস মুক্ত রাখতে সুন্দর কিছু ওষুধ খাওয়াতে হবে যে ওষুধের নামের তালিকা গুলো আমরা নিম্নে তুলে ধরলাম।

>

 flacol- এটি স্কয়ার কোম্পানির একটি ভালো মানের গ্যাসের ঔষধ। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩৫ টাকা।

২। flatunil- এটি একমি কোম্পানির একটি বাচ্চাদের গ্যাসের ভালো সিরাপ গুলোর মধ্যে একটি। যার বর্তমান মূল্য ৩৫ টাকা।

৩। গ্যাসনিল- এটি স্কাইএফ কোম্পানির একটি গ্যাসের সিরাপ। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ টাকা।

৪। lefoam- এটি ইনসেপ্টা কোম্পানির একটি গ্যাসের ওষুধ।যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ টাকা।

৪।নিউ ড্রপ- বেক্সিমকো কোম্পানির একটি গ্যাসের ঔষধ। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ টাকা

৫। semecon- এটি বাংলাদেশের বিখ্যাত ড্রাগ কোম্পানির একটি সিরাপ। বর্তমান বাজার মূল্য ৪৬ টাকা।

6। সিমেন- এটি এ সি আই কোম্পানির একটি গ্যাসের ঔষধ। যার দাম ৪০ টাকা।

৭। সিমেথি- এটির জেনিত কোম্পানির একটি গ্যাসের ঔষধ। বর্তমান মূল্য ৩০ টাকা।

 

বাচ্চাদের গ্যাস হওয়ার কারণ

সাধারণত বাচ্চারা যে মায়ের দুধ খায় বা প্যাকেট দুধ খায় তাতে থাকা প্রোটিন এবং ফ্যাটের হজম করা থেকে স্বাভাবিক ভাবে বাচ্চাদের পেটে গ্যাস তৈরি হয়।

একজন নবজাতক যখন তার মায়ের কাছ থেকে দুধ পান করে অথবা ফিটার থেকে দুধ পান করে তখন অতিরিক্ত হাওয়ার নেওয়ার কারণে পেটে গ্যাস সৃষ্টি হয়।

এছাড়াও বাচ্চা যখন বেশি পরিমাণ কান্না করে তখন মনের অজান্তেই অথবা পিতা-মাতার অজান্তেই তার পেটে খাওয়া সৃষ্টি হয় এবং সেটি গ্যাসে পরিণত হয়।

নবজাতকের মায়েরা যে ধরনের খাবার খায়, সে সকল খাবারের মাধ্যমেও নবজাতকের পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে।

এবং নবজাতককে অতিরিক্ত খাওয়ানের ফলেও পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে যা হজম শক্তি কম করে দেয়।

বাচ্চাদের গ্যাস হবার লক্ষণ

একজন নবজাতকের গ্যাস হওয়াটা স্বাভাবিক তবে আপনি কিভাবে আপনার বাচ্চা অথবা নবজাতকের গ্যাস হয়েছে কিনা সেটা বুঝবেন বা উপলব্ধি করবেন তা নিয়ে এই প্রতিবেদনটি। আপনি আপনার নবজাতককে যখন দেখবেন খুব অস্বাস্থ্যকর এবং অশান্তি সৃষ্টি করতেছে বেশি কান্নাকাটি করতেছে এবং যন্ত্রণাদায়ক কিছু কাজকর্ম বা ছটফট করতেছে তাহলেই বুঝবেন আপনার বাচ্চার পেটে গ্যাস সৃষ্টি হচ্ছে এবং সে যন্ত্রণাদায়ক এবং অশান্তিকর কিছু কাজকর্ম করছে। কিভাবে আপনি আপনার নবজাতকের কেস উপলব্ধি করবেন সেটি আমরা নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে।

• দেহের এ পাশ ও পাশ করা,

• হাত মুষ্টি খোলা ও বন্ধ করা,

• জোরে জোরে হাত পা ছোড়া,

• হাঁটু বুকে ঠেকিয়ে হাঁসফাঁস করা,

• পেট ফুলা ফুলা মনে হওয়া,

• বার বার গ্যাস নিঃসরণ হওয়া ইত্যাদি।

বাচ্চাদের গ্যাস নিরাময় করার ঘরোয়া উপায়

আপনি যদি আপনার নবজাতক কে গ্যাস নিরাময় করতে চান তাহলে অবশ্যই ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে আপনি আপনার নবজাতকের গ্যাস নিরাময় করতে পারবেন খুব সহজেই তবে আপনার নবজাতকের গ্যাস নিরাময় করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু জিনিস লক্ষ্য করতে হবে এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আমরা এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই এবং বুঝিয়ে দিতে চাই যে কিভাবে ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে আপনি আপনার নবজাতকের গ্যাস দূর করতে পারবেন। আমি আপনার বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে পারবেন গ্যাস থেকে।

  • বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় বাচ্চার মাথা এবং ঘাড় এমন একটি কোণ করে রাখতে হবে যাতে মাথা পেটের তুলনায় উপরে থাকে। এতে দুধ নীচে পেটে যায় বায়ু যায়না আর বায়ু গেলে ও তা উপরে উঠে আসে। এই পদ্ধতি বোতলে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
  • অবশ্যই নবজাত কে খাওয়ানোর সময় ঢেকুর তোলার অভ্যাস সৃষ্টি করুন। নবজাতকের পিছে আলতো করে চেপে ঢেকুর তোলার চেষ্টা করুন তাহলেই তার পেট থেকে সকল গ্যাস নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • অবশ্যই আপনার বাচ্চাকে কান্না ভরিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন কান্নার মাধ্যমে গ্যাস সৃষ্টি হয় তাই বাচ্চা যত কম কান্না করবে তার পেটে খুব কম গ্যাস সৃষ্টি হবে।
  • অবশ্যই আপনাকে বাচ্চাদের পেট মালিশ করে দিতে হবে পেট মালিশ করে দিলে পেট থেকে যখন বুদবুদ হয়ে বেরিয়ে আসে আসতে সাহায্য করবে এবং নবজাতক সুস্থ থাকবে।
  • এবং অবশ্যই আপনার নবজাতককে আপনি সকল ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের পাশাপাশি সরিষার তেল বেশি ব্যবহার করবেন। খাঁটি সরিষার তেল নবজাতককে সুস্থ রাখেন এবং সকল রোগ থেকে দূরে রাখেন।

এছাড়াও এ ধরনের সকল নিয়মগুলো ফলো করার পরে অবশ্যই আমরা আশা করি আপনারা নবজাতক গ্যাস থেকে মুক্তি পাবে ইনশাআল্লাহ। তবে আপনি যদি গ্যাস থেকে আপনার নবজাতককে ভুল ভাবে মুক্ত করতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। ঘরোয়া উপায় গুলো ফলো করলে ইনশাল্লাহ আপনার বাদশাহ সুস্থ থাকবে এবং তারপরও আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং সেই অনুযায়ী আপনার নবজাতকের চিকিৎসা গ্রহণ করুন। সেই সাথে আপনার বাচ্চার সুস্বাস্থ্য ভালো কামনা করি আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটি শেষ করতে যাচ্ছি এবং আপনি আপনার নবজাতকের যত্ন নেবেন এবং সব সময় খেয়াল রাখবেন। মনে রাখবেন আপনার নবজাতকের কোন আশ্চর্যপূর্ণ ব্যবহার দেখলে বা আচরণ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং সুচিকিৎসা গ্রহণ করুন। সময় দিয়ে আমাদের প্রতিবেদনটি সাথে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *