নবীজি সাঃ কেন টিকটিকি মারতে বলেছেন

নবীজি সাঃ কেন টিকটিকি মারতে বলেছেন-টিকটিকি দেখলে যা করবেন

টিকটিকি এমন একটি প্রাণী যা মানুষের উপকারে আসে। কিন্তু টিকটিকি মানুষের উপকার করার পরেও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন টিকটিকি কে মারতে হবে। নবীজি কেন টিকটিকি কে মারতে বলেছেন তা নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সামনে আলোচনা করব যদি আপনি টিকটিকির মারার কারণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে দেখুন। আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে দেখলে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন নবীজি কেন বলেছেন টিকটিকি কে মারতে। কি কারনে নবীজি টিকটিকি কে মারতে বলেছেন এসব বিষয় নিয়ে আমরা সুন্দরভাবে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। আমাদের আর্টিকেলটিতে আমরা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি টিকটিকি মারার কারণ সম্পর্কে এবং আমাদের আর্টিকেলটি সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে যাতে খুব সহজেই আপনি বুঝতে পারেন।

টিকটিকি থাকার উপকার

টিকটিকি সাধারণত মানুষের বিভিন্ন কাজে লাগে। যেমন টিকটিকি মানুষের বাসায় বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকে। টিকটিকি যেসব স্থানে লুকিয়ে থাকে সেই সব স্থানে ছোট ছোট পোকামাকড় অর্থাৎ মশা-মাছি আরও বিভিন্ন ধরনের ভয়ঙ্কর মাছিগুলো সেখানে বসবাস করে। যেইসব পোকামাকড়গুলো মানুষের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে থাকে, সেইসব পোকামাকড়দের টিকটিকি দয়া করে খেয়ে ফেলে এজন্য টিকটিকি মানুষের উপকারে আসে। তবে টিকটিকি আমাদের বিভিন্ন উপকারে আসলে ও নবীজী টিকটিকি কে মারতে বলেছেন সেই কারণেই আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব এজন্য আপনাকে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

টিকটিকি থাকার অপকার

মানুষের বাসায় টিকটিকি বসবাস করলে সেটি মানুষের জন্য মারাত্মক একটি ভয়ংকর। কারণ টিকটিকি মানুষের শরীর থেকে একটি গান নিয়ে সেটি নেশা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। টিকটিকি মানুষের হত্যার কারণ হতে পারে। টিকটিকি ইসলামের শত্রু হিসাবে কাজ কর। টিকটিকিকে একটি আঘাতে হত্যা করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তাকে 100 নেকি দান করা হবে। কেন টিকটিকি ১ আঘাতে হত্যা করতে হবে নবীজি বলেছেন। ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল তখন তখন টিকটিকি ফু দিয়ে আগুন জ্বালাতে সাহায্য করেছিল। বুখারী এবং মুসলিম শরীফে এই হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে।

>
  • টিকটিকির এই শয়তানি তৎপরতায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
  • এবং বলেছেন যারা টিকটিকিকে এক হাতে হত্যা করবে তাকে 100 নেকি দান করা হবে।
  • এবং সেখানে ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আগুনে যখন নিক্ষেপ করা হয় তখন ব্যাংক প্রসব করে আগুন নেভানোর জন্য সাহায্য করেছিল এজন্য ব্যাংক হয়ে গেল পবিত্র এবং ব্যাংক মারা হারাম বলে জানিয়েছেন।
  • রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম টিকটিকি মারার আদেশ দেওয়ার পরে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু টিকটিকি হত্যা করা শুরু করেন।

যে পাঁচটি প্রাণী মানুষের জন্য ক্ষতিকর

রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে মানুষের জন্য যে কয়েকটি প্রাণী ক্ষতিকর সে কয়েকটি প্রাণী আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। যাতে আপনি খুব সহজেই জানতে পারেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন প্রাণী গুলো সম্পর্কে বলেছেন এবং কোন প্রাণী গুলো মানুষের জন্য ক্ষতিকর। আমরা নিচে যেসব ক্ষতিকর প্রাণী রয়েছে সেই প্রাণীগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরলাম যাতে সহজেই আপনি ক্ষতিকর প্রাণীগুলো সম্পর্কে জানতে পারেন।

  • বিচ্ছু
  • ইঁদুর
  • চিল
  • কাক
  • পাগলা কুকুর

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তমার নামাজ রত অবস্থায় 2 টি প্রাণী হত্যা করো। যে সকল প্রাণী মানুষের ক্ষতির চেষ্টা করে থাকে, এবং যেসব প্রাণী গুলো মারাত্মক ভয়ংকর এবং মানুষের ক্ষতির জন্য চেষ্টা করে থাকে। সাধারণভাবে বলতে গেলে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দুটি প্রাণী নামাজ রত অবস্থায় হত্যা করতে বলেছেন সেই দুটি প্রাণী হল সাপ এবং বিচ্ছু।

টিকটিকি মারার কারণ

  • ইসলামিক শরীয়তে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন টিকটিকি ইব্রাহিম রাদিয়াল্লাহু আনহুর আগুনে নিক্ষেপ করার পরে টিকটিকি আগুন জ্বালাতে সাহায্য করেন।
  • সাধারণত টিকটিকি মানুষের দেওয়া লাগে না এবং কুটির নিচে বসবাস করেন।
  • টিকটিকি মানুষের বিছানার নিচে টেবিলের নিচে টেবিল-চেয়ার আসবাবপত্র এসবের মাধ্যমে চলাচল করেন।
  • এবং টিকটিকি মানুষের খাবার, বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং খাবারের প্লেট ভাতের উপর দিয়ে চলাচল করে। এবং টিকটিকি মানুষের খাবারের উপর মলমূত্র ত্যাগ করে।
  • পৃথিবীর অত্যন্ত সকল প্রাণীর থেকে টিকটিকি সরীসৃপ প্রাণী গুলোর মধ্যে টিকটিকির মল মূত্র খুবই ক্ষতিকর।
  • টিকটিকি সারা জীবন মানুষের শত্রু হয়ে চলেছে। চিকনি যেমন মানুষের খাবারের উপর মলমূত্র ত্যাগ করে এবং খাবারের উপর লালা ফেলে। যেসব খাদ্য খেলে মানুষ মারা যেতে পারে
  • যেহেতু টিকটিকি মানুষের খাবারের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারে এজন্য তারা খাবারের উপর মলমূত্র ত্যাগ করা এবং লালা খেলতে পছন্দ করে।
  • টিকটিকি সবসময় মানুষের খাবার নষ্ট করতে পছন্দ করে বিশেষ করে মানুষের খাদ্যের সাথে যে আমরা লবণ ব্যবহার করি সেই লবণ নষ্ট করতে পছন্দ করে বেশি।
  • টিকটিকির লেজ ধারা নেশাদ্রব্য তৈরি করা হয়। পৃথিবীর অনেক মানুষ এই টিকটিকির লেজ পুড়িয়ে নেশাদ্রব্য তৈরি করে সেটি সেবন করে।
  • নেশাদ্রব্য তৈরি করার জন্য কিছু চক্র রয়েছেন যারা টিকটিকি সংগ্রহ করেন টিকটিকির লেজ সংগ্রহ করেন।
  • টিকটিকির লেজ তারা যে ব্যক্তি নেশা দ্রব্য তৈরি করে এবং নেশা গ্রহণ করে থাকে সেই ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিন থেকে চার বছর নেশাদ্রব্য পান করলে মৃত্যুবরণ করবে।
  • যেহেতু টিকটিকি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণ তাই মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চৌদ্দশ বছর আগে টিকটিকি কে হত্যার আদেশ দিয়েছেন।

আমরা আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরলাম কোন টিকটিকি মানুষের জন্য ক্ষতিকর এবং মহানবী সাঃ কেন টিকটিকি কে হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন। আমাদের উল্লেখিত সকল তথ্য গুলো আমরা সংগ্রহ করেছি বিভিন্ন হাদিস থেকে এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং আমাদের আর্টিকেলটিতে যদি কোনো ধরনের ভুল থেকে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং টিকটিকি সম্পর্কে যদি আপনি কোন মতামত থেকে থাকে বা টিকটিকি সম্পর্কে যদি আপনি কোনদিন তথ্য জেনে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আপনি যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ভালবেসে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেটি আমাদের নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *